কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ‘দুর্নীতি’র নানা প্রমাণ তদন্তে
দতে ওঁরা ‘রিসার্চ স্কলার’-ই নন। অথচ ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে এমন ৬৭ জনের নামে রিসার্চ স্কলারের বৃত্তি বাবদ গত দশ বছরে ১৪ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
মৃত্যুর পরেও ১৯ জন অশিক্ষক কর্মীর বেতন-পেনশন তোলা হচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে সাত-আট বছর ধরে! তছরুপের অঙ্ক ৪৯ লক্ষ টাকা।
শিক্ষক মারা গিয়েছেন এক বছর আগে। মৃত্যুর খবর চেপে রাখা হয়েছিল। তাঁর বেতনের পুরো টাকা এখনও প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা পড়ছে। এ পর্যন্ত ১২ লক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির নাম বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে আর্থিক নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে কয়েক বছর ধরে। উপরের তিনটে তারই নমুনা মাত্র। দুর্নীতির ভিত যে অনেক গভীরে, সেই আঁচ পেয়ে মাস চারেক আগে আচার্য তথা রাজ্যপালকে, উপাচার্যকে ও রাজ্য কৃষি দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। মহাকরণ-সূত্রের খবর: রাজভবন থেকে সেই অভিযোগ যায় অর্থ দফতরে। কৃষি দফতর ও অর্থ দফতর একযোগে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তের ভার দেওয়া হয় কল্যাণীর মহকুমাশাসককে। টাকা লেনদেনের দায়িত্বও উপচার্যের হাত থেকে সরিয়ে মহকুমাশাসককে অর্পণ করা হয়।
এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কল্যাণীর মহকুমাশাসক শৈবাল চক্রবর্তী ইতিমধ্যে তাঁর তদন্ত-রিপোর্ট মহাকরণে জমা দিয়েছেন। শৈবালবাবুর কথায়, “অনেক বিষয়েই আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। আইন মোতাবেক কী কী করা উচিত, অর্থ দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি।” মহাকরণের খবর: এ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার ও ক্যাশিয়ারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তদন্ত-রিপোর্ট বলছে, সরকারের অনুমতিই ছাড়াই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ২৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন। উপরন্তু ওই সব আমানতের টাকার কী হল, তারও কোনও হিসেব নেই। বস্তুত সে সংক্রান্ত কোনও ক্যাশবুকই নেই। মহাকরণের একটি সূত্রের বক্তব্য, কোন টাকা কী খাতে খরচ হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ। এ বার তার তদন্ত শুরু হবে। বিশেষত কেন্দ্রীয় অনুদানের অর্থ খরচের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
রাজের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, “গত দু’বছরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন খাতে কত টাকা এসেছে, কী ভাবে ব্যয় হয়েছে, তা নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। অভিযোগ মূলত উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে।” কৃষিমন্ত্রী জানাচ্ছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মারফত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে তদন্ত-রিপোর্টের কথা জানাবেন। আচার্যের নির্দেশমতো ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরোজকুমার স্যান্যাল বলেন, “আমি এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আর্থিক বিষয়গুলোতে রেজিস্ট্রার ও কন্ট্রোলারের উপরে নির্ভর করেছিলাম। আমি চাই, অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সামনে আসুক।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.