|
|
|
|
ধৃত প্রধান সিআইডি হেফাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জামবনির কাপগাড়ি পঞ্চায়েতের ধৃত ঝাড়খণ্ডী প্রধান কেশরমণি হাঁসদাকে মাওবাদী সংগঠনের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করল সিআইডি। প্রায় দেড় বছর আগের পুরনো একটি ইউএপিএ মামলায় অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার কেশরমণিদেবীকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করে সিআইডি। কেশরমণিদেবীকে ঘোমটায় মুখ ঢেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা ডিএসপি (সিআইডি) পূর্ণশিব মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদী সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করতেন কেশরমণিদেবী। জামবনির চনসরো গ্রামে তাঁর বাড়িতে মাওবাদীদের গোপন ডেরা ছিল। সেখানে মাওবাদীদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণও করতেন তিনি। কেশরমণিদেবীকে ৫ দিন সিআইডি-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়।
গত বছর ১০ মার্চ চনসরো গ্রামে যৌথ বাহিনী-মাওবাদী গুলির লড়াইয়ে মাওবাদী শীর্ষনেতা শশধর মাহাতো নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকেই বিজু মাহাতো নামে এক মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য ধরা পড়েন। সিআইডি’র দাবি, বিজুকে জেরা করে কেশরমণিদেবী ও তাঁর প্রতিবেশী ঠাকুরমণি সরেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাওবাদীদের পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, পুস্তিকা উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। গত বছর ওই ঘটনায় ইউএপি (বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইন) আইনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ওই মামলায় এফআইআর-এ মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো, কেশরমণিদেবী ও তাঁর স্বামী রামেশ্বর হাঁসদা এবং তাঁদের পড়শি ঠাকুরমণি সরেন-সহ ৯ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি। ইতিপূর্বে বিজু মাহাতো-সহ ধৃত দু’জন অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। এখনও আদালতে মামলাটির চার্জশিট জমা দেয় নি সিআইডি। বুধবার কাপগাড়ি বাজার থেকে কেশরমণিদেবীকে ধরা হয় বলে আদালতে দাবি করে সিআইডি।
অভিযুক্তের আইনজীবী তপন চৌধুরীর অবশ্য অভিযোগ, বুধবার উন্নয়নের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত একটি রাজনৈতিক দলের ডেপুটেশন নিতে কাপগাড়ি পঞ্চায়েত অফিসে থাকাকালীন কেশরমণিদেবীকে গ্রেফতার করা হয়। তপনবাবুর আরও অভিযোগ, “এক বছর ধরে কেশরমণিদেবী এলাকায় রয়েছেন। নিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে যেতেন। বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতেও যেতেন। সে সবের রেকর্ড রয়েছে। কাপগাড়ি অঞ্চলে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে কেশরমণিদেবীকে ফাঁসানো হয়েছে।” এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন এতদিন পর্যন্ত কেশরমণিদেবীকে গ্রেফতার করা হয়নি, আদালতে সেই প্রশ্নও তোলেন অভিযুক্তের আইনজীবী। সরকারপক্ষ অবশ্য দাবি করেন, কেশরমণিদেবী এতদিন ফেরার ছিলেন। তাঁর স্বামী রামেশ্বরবাবু এবং তাঁদের পড়শি ঠাকুরমণিদেবীকেও একই কারণে ধরা যায়নি বলে সিআইডি’র দাবি।
ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার অভিযোগ, “তৃণমূলিরা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজস করে পরিকল্পিত ভাবে কেশরমণিদেবীকে ফাঁসিয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে।”
মেচেদায় দুস্কৃতী ধৃত। দু’টি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি-সহ এক দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে কোলাঘাট থানার মেচেদা বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে প্রদীপ হাজরা নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি মেচেদা সংলগ্ন শান্তিপুর গ্রামে। রাতে মেচেদা বাসস্ট্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে। |
|
|
|
|
|