সামান্য বৃষ্টি হলেই জলে থই থই করে রতুয়ার দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ড। জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বাসস্ট্যান্ড-সহ লাগোয়া এলাকাতে এক হাঁটু জল জমে যায়। পঞ্চায়েত-প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় বুধবার সকাল ৯টা থেকে তিন ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। ভালুকা-রতুয়া রাজ্য সড়কে পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে রাস্তা কেটে জল বার করার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শুধু রতুয়ার ওই এলাকাই নয়। টানা বৃষ্টির জেরে চাঁচল মহকুমা জুড়েই বেহাল জল নিকাশি ব্যবস্থার ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কোথাও বাসস্ট্যান্ড, কোথাও জলে ভাসছে বাজার, হাট থেকে শুরু করে যাতায়াতের রাস্তা। চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “একটানা বৃষ্টিতে সমস্যা বেশি হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে সাময়িকভাবে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। টাকার অভাবে সর্বত্র নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। তবে যেভাবে বরাদ্দ মিলছে সেইভাবে একেকটি এলাকায় কাজ করা হচ্ছে।” বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কোথাও অপরিকল্পিতভাবে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠা, আবার কোথাও সংস্কারের অভাবে তা বেহাল হয়ে পড়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে টানা বৃষ্টিতে হাসপাতাল, ব্লক ও স্কুলে যাওয়ার রাস্তা জলে ভাসে। একহাঁটু জল জমে যায় থানার সামনে। তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুরে নিকাশি আবর্জনায় ভরেছে। সংস্কারের অভাবে তা বেহাল হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে একই অবস্থা হয় তুলসীহাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকার। রেজিস্ট্রি অফিস, ব্যাঙ্কে হাঁটু জল পার হয়ে ঢুকতে হয়।” পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য বিনোদ গুপ্তও বলেন, “জমির সমস্যা থাকায় নিকাশি গড়ে তোলা যায়নি। পূর্ত দফতরের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” বাসিন্দারা জানান, সামান্য বৃষ্টিতে একই অবস্থা হয় কুশিদা বাসস্ট্যান্ড চত্বরেরও! চাঁচলে ৪ বছর আগে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে উঁচু নর্দমা তৈরি হলেও তা বেহাল। চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদারও বলেন, “চাঁচলে নিকাশি নালা তৈরিতে গলদ রয়েছে।” |