টুকরো খবর
প্রতিবাদে আন্দোলন
ভক্তিনগর থানা এলাকাকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে অর্ন্তভুক্তির বিরোধিতা করে আন্দোলন দানা বাঁধছে জলপাইগুড়িতে। আজ, বৃহস্পতিবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা যুব কংগ্রেসও। এদিন জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। নতুন পুলিশ কমিশনারেটে ভক্তিনগর থানা অর্ন্তভুক্ত হলে থানাটি আর জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের আওতাভুক্ত থাকবে না। সেই কারণে আন্দোলন শুরু করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। কর্মবিরতির পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী এক ঘন্টার পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “জলপাইগুড়ি থেকে ভক্তিনগরের পৃথকীকরণ কিছুতেই মানা হবে না। এটি একদিকে যেমন জেলা আদালতের মর্যাদাহানি হবে, অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলার পক্ষেও ক্ষতিকারক সিদ্ধান্ত।” অবরোধের পরে রবিবার ভক্তিনগর থানার সামনে প্রতিবাদ, সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে অবরোধ এবং বুধবার বিভাগীয় কমিশনারের দফতরের সামনে অবস্থানের ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একদিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হচ্ছে। অন্যদিকে ভক্তিনগর শিলিগুড়ি কমিশনারেটে চলে যাচ্ছে। তবে জেলায় আর থাকল কী?”

বন্যায় ক্ষতি ৬০ কোটির
মহানন্দা নদীর ধারে থাকা ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুর কর্তৃপক্ষের অনুমান। বুধবারও ১ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বেডকর কলোনি, লিম্বুবস্তির মতো কয়েকটি এলাকা জলবন্দি ছিল। এ দিন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “নদীর ধারে থাকা ওয়ার্ডগুলির বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে প্রচুর রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও নিকাশি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য মিলেছে। পুরসভার তরফে ‘টিম’ করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পেলে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে সেই মতো ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করা হবে।” মহানন্দার জল বেড়ে রবিবার গভীর রাত থেকেই প্লাবিত হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি পুর এলাকার ১-৫, ৩১, ৪২-৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশ। সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হয় ১ নম্বর, ৫ নম্বর এবং ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে। মিলন মোড় এলাকায় মহানন্দার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে মহিষমারি নদীতে। মহানন্দা এবং মহিষমারির জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকা। পরে জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী এবং পঞ্চনই নদীর জলও ঢুকে পড়ে লাগোয়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দা নদী বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। জল বন্দি এলাকার বিভিন্ন রাস্তা নষ্ট হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের কাছে কাপড়, জামা, বাচ্চাদের পোশাক চাওয়া হয়েছে।

আন্দোলন, কর্মবিরতি
ভক্তিনগর থানা এলাকাকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে অর্ন্তভুক্তির বিরোধিতা করে আন্দোলন দানা বাঁধছে জলপাইগুড়িতে। আজ, বৃহস্পতিবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা যুব কংগ্রেসও। এদিন জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। নতুন পুলিশ কমিশনারেটে ভক্তিনগর থানা অর্ন্তভুক্ত হলে থানাটি আর জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের আওতাভুক্ত থাকবে না। সেই কারণে আন্দোলন শুরু করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। কর্মবিরতির পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী এক ঘন্টার পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “জলপাইগুড়ি থেকে ভক্তিনগরের পৃথকীকরণ কিছুতেই মানা হবে না। এতে এক দিকে জেলা আদালতের মর্যাদাহানি হবে, তিা জলপাইগুড়ি জেলার পক্ষেও ক্ষতিকারক সিদ্ধান্ত।” পথ অবরোধের পরে রবিবার ভক্তিনগর থানার সামনে প্রতিবাদ, সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে অবরোধ এবং বুধবার বিভাগীয় কমিশনারের দফতরের সামনে অবস্থানের ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আলিপুরদুয়ার জেলা হচ্ছে। ভক্তিনগর শিলিগুড়ি কমিশনারেটে চলে যাচ্ছে। তবে জলপাইগুড়ি জেলায় আর থাকল কী? যেভাবেই হোক এই সিদ্ধান্তকে রুখতে হবে।”

কুমলাই বাগানে অচলাবস্থা
মালবাজার ব্লকের কুমলাই চা বাগানে শ্রমিক ও কর্মীদের বেতন বকেয়া থাকায় চা বাগানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাগানের ম্যানেজার ছুটিতে চলে যাওয়ায় শ্রমিকরা আরও সমস্যায় পড়েছেন। বুধবার মালবাজারের সহকারি শ্রম কমিশনারের দফতরের বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হলেও সেখানে মালিক পক্ষের কেউ যোগ দেয়নি। চলতি মাসের প্রথমে কুমলাই চা বাগানের শ্রমিক সমস্যা মেটাতে সিটু, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ ও এনইউপিডব্লু মিলিত ভাবে কুমলাই বাগান বাঁচাও কমিটি গঠন করে। এদিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মালিকপক্ষ না আসায় কমিটির সদস্যরা জাতীয় সড়ক আটকে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। মহকুমা শাসককেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুমলাই বাগান বাঁচাও কমিটির পক্ষে অমরদান বাক্সলা, জহিরুল ইসলাম বলেন, “গত দেড়মাস ধরে কর্মী থেকে শ্রমিক কেউ বেতন পাচ্ছেন না। ম্যানেজার না থাকায় এখনও যারা পাতা তোলার কাজ করছেন তাঁরা মজুরি পাবেন কিনা বোঝা যাচ্ছে না।” কমিটির সদস্যরা জানান, প্রায় ৪ কোটি টাকা মজুরি বকেয়া রয়েছে।

দেহ নিয়ে অবরোধ
রামআশ্রয় প্রসাদ সরাব(৬২)-এর দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ শিলিগুড়ি থানার হিলকার্ট রোডে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘন্টা খানেক পরে পুলিশের উপস্থিতিতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবার মাটিগাড়া থানার কদমতলা থেকে হিলর্কাট রোডের অলঙ্কার ব্যবসায়ী রামআশ্রয়বাবুকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। ‘মুক্তিপণ’ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ঘটনাটি পুলিশকে জানান ব্যবসায়ীর ছেলে জিতেন্দ্রপ্রসাদ। ঘটনার তদন্তে নেমে এক আইনজীবী সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে বিহারের এক দুষ্কৃতী রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ব্যবসায়ীকে ভাগলপুরে খুন করে তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয়। ভাগলপুর থানার পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ এবং ব্যবসায়ীর আত্মীয়রা মঙ্গলবার গভীর রাতে দেহ নিয়ে শিলিগুড়িতে ফেরেন। এদিন মৃতদেহ সৎকার করা হয়। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বাসিন্দারা। শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল বলেন, “অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি পুলিশ কর্তাদের জানানো হয়েছে।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে।”

হামলা, নালিশ
প্যাথলজিক্যাল ক্লিনিকে হামলার অভিযোগ উঠল কেপিপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কামতাপুর পোগ্রেসিভ পার্টির নেতা অতুল রায়ের অভিযোগ, ওই ক্লিনিক অভিজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। ৩ জন অংশীদার হিসাবে যোগ দেয়। সে সময় অভিজিৎবাবু আড়াই লক্ষ টাকাও দেন। সম্প্রতি ঘরের মালিক অভিজিৎবাবুকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। কিন্তু তাঁর জিনিসপত্র এবং টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। জিনিসপত্র আনতেই অভিজিৎবাবুর পক্ষে কেপিপি সমর্থকরা এ দিন সেখানে যান। যদিও ওই দোকান ঘরের মালিক বিপুল সাহা পুলিশে অভিযোগ করেন, দোকানের জিনিসপত্র লুঠের চেষ্টা করছিলেন কেপিপি সমর্থকরা। পুলিশ সমস্ত জিনিস আটক করেছে। শিলিগুড়ির ডিএসপি প্রদীপ পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।”

কিশোরীকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ
হুগলির উত্তরপাড়া হোম থেকে নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে বুধবার সেই অভিযোগ জানান আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু। তিনি বলেন, “হাসপাতাল চত্বর থেকে কিছু দুষ্কৃতী ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহ করে। হাসপাতালের কর্মীরা সে কথা জানিয়েছেন। মহকুমা পুলিশ আধিকারিকে জানিয়ে তদন্তের অনুরোধ করেছি।”

বন্যার আশঙ্কা
ভুটানের প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ফালাকাটায়। বুধবার বিকালে আচমকা বিরকিটি নদীর জলোচ্ছ্বাসে ব্লকের গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোকুলনগর জয়চাঁদপুর ও গকুলনগরে জল ঢুকে পড়ে। শখানেক বাড়িতে নদীর জল ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েন বাসিন্দারা। সন্ধ্যা থেকে নদীর জল বাড়তে শুরু করায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। ভুটানের বৃষ্টিপাতের জেরে এদিন ফের বানারহাটের উমেশ খাল উপচে বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

ভারী বৃষ্টির ভয়
সেচ দফতর নদী স্রোত ঘুরিয়ে দিলেও প্রবল বৃষ্টিপাতে ফের মহানন্দার জলোচ্ছ্বাসে বিপাকে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিলিগুড়ির চম্পাসারির মিলন মোড় এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার ভোরে ওই এলাকায় মহানন্দার বাঁধ প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভেঙে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। নদীর স্রোত ঘুরিয়ে ভাঙা অংশে বালির অস্থায়ী বাধ তৈরি করে সেচ দফতর। সেখানে বালিরা বস্তাও ফেলা হয়েছে। তার পরেও দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না বাসিন্দাদের। বুধবার সন্ধ্যা থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা রোশন ছেত্রী বলেন, “সবেই বাড়িতে ফিরেছি। সেচ দফতর অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছি না। যে কোনও সময়ে গ্রামে ফের জল ঢুকতে পারে।” সেচ দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, ফের এ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.