গ্রামবাসীদের বাধায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে রয়েছে সান্যালচর এলাকায় বিদ্যুতের হাইটেনশান লাইনের টাওয়ার বসানোর কাজ।
নদিয়ার চাকদহের চাদুরিয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সান্যালচর এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও নদীর অন্য পারে চরের জমি জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে বণ্টন করা হলে তবেই বিদ্যুতের হাইটেনশান টাওয়ার বসাতে দেবেন তাঁরা। সান্যালচর এলাকায় ভাগীরথীর নদীর এক দিকে নদিয়া ও অন্য দিকে হুগলি। নদিয়ার দিকে নদীভাঙন অব্যাহত। এখানেই সান্যালচরের কোল ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জিরাট ও বর্ধমানের সাতগাছিয়ার মধ্যে সংযোগকারী ২ লক্ষ ২০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের হাইটেনশন তার। বিদ্যুত দফতর জানায়, বছর ২৫ আগেও ওই এলাকায় বিদ্যুতের টাওয়ার থেকে কমপক্ষে ৪০০ মিটার দূর দিয়ে নদী ভাঙন হচ্ছিল। কিন্তু গত দু বছর ধরে তা এগিয়ে এসেছে ক্রমেই। ভাঙনের শিকার দুটি টাওয়ার। এরপরেই নতুন টাওয়ার বসানোর উদ্যোগ শুরু হতেই গ্রামবাসীরা আপত্তি তোলেন।
তাঁদের দাবি, নদী ভাঙনে প্রায় ভিটে হারা তাঁরা। সদ্য জাগা সান্যাল চরে জমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁদের দিলে তবেই টাওরা বসানোর ‘ছাড়পত্র’ দেবেন তাঁরা। গ্রামের অনেকেই বলেন, “এর আগে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ২টো টাওয়ার বসাতে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর সে আশ্বাসে ভুলেই গিয়েছেন জেলা কর্তারা। আমরাও জমি না পেলে টাওয়ার বসাতে দেব না।” স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সিপিমের সদানন্দ বিশ্বাস বলেন, “এখানে কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা দরকার। এক সময় দায়সারা ভাবে ২ কিলোমিটার এলাকায় কাজ হয়েছিল। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা ভাল কাজ চাইছেন।” ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টার অমরেশচন্দ্র সরকার বলেন, “গ্রামবাসীদের দাবি নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। তাঁদের বিষয়টি প্রশাসন ও সেচ দফতরকে জানিয়েছি।” তিনি জানান, ১৬ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরে টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সােলের মধ্যে। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধায় সেই কাজ থমকে রয়েছে। নদিয়ার জেলাশাসক অভিনব চন্দ বলেন, “১৯৮৪ সাল থেকে ওখানে ভাঙন হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের জন্য ফের ওই বিষয়টি নিয়ে দুই জেলাপ্রশাসনের মধ্যো আলোচনা হবে।” |