ঠিকাকর্মীদের মারধর করে লুঠ |
রাস্তার কাজে বরাত পাওয়া বেসরকারি এক ঠিকাদার সংস্থার অস্থায়ী শিবিরে হামলা চালিয়ে এবং কর্মীদের মারধর করে বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে পালাল একদল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানা এলাকার সাতকেন্দুরী মোড়ের কাছে। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই সংস্থা জানিয়েছে, দুষ্কৃতীর দলটি ট্রাক লাগিয়ে রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু পিচ ভর্তি ড্রাম, কর্মী ও শ্রমিকদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন, কিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের মারধর করেছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ত দফতরের (সড়ক) ওতায় থাকা দুবরাজপুর কামারশাল মোড় থেকে বক্রেশ্বর যাওয়ার রাস্তটির সাত কিমি অংশ সংস্কার করার দায়িত্ব পেয়েছে ওই ঠিকাদার সংস্থাটি। সেই জন্য সাতকেন্দুরী মোড়ের কাছাকাছি পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কের ধার ঘেঁষে তাদের শিবির তৈরি করিয়েছিল তারা। ইতিমধ্যেই রাস্তাটির কাজে শুরু হয়েছে।
সংস্থার এক নিরাপত্তারক্ষী শেখ আমানুল্লা বলেন, “রাত দেড়টা নাগাদ শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মীরা তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ আমার উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আমাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা মোবাইলটি কেড়ে নেয়। কিছু বোঝার আগেই মোট ২০-২৫ জনের একটি দল ট্রাক নিয়ে ভেতরে ঢোকে। বাকি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে সকলকে একটি ঘরে ভরে রেখে অপারেশন চালায় তারা।” ওই ঠিকাদার সংস্থার এক অংশিদার সর্বেন্দু সরকার জানান, পুলিশকে সব কথাই বলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
|
মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ বধূর, গ্রেফতার স্বামী |
বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত প্রশান্ত মণ্ডলকে বুধবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সাঁইথিয়া থানার আমোদপুরে রাখী মণ্ডল (৩২) নামে ওই বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে প্রশান্ত মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর ও মোটরবাইকে আগুন লাগিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং অভিযুক্তকে উদ্ধার করে আনে। ওই দিন রাতেই বধূর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আড়াই বছর আগে আমোদপুরের বাসিন্দা নবকুমার মণ্ডলের ছেলে প্রশান্তর সঙ্গে বিয়ে হয় সাঁইথিয়ার মনসাপল্লির বাসিন্দা নলিনী ঘোষের মেয়ে রাখীর। রাখীদেবী প্রশান্তর দ্বিতীয় স্ত্রী। নলিনীবাবুর অভিযোগ, “যোগাযোগ করে বিয়ে দিয়েছিলাম। দাবি মতো পণও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকে মেয়ের উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। মেয়ের কথা ভেবে আরও কিছু টাকা দিই। তা সত্বেও জামাই মেয়েকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিত। এ সব কথা মেয়ে বহুবার বলেছে। মঙ্গলবারও টাকা আমার জন্য মেয়ের উপরে অত্যাচার করেছিল। কথা না শোনায় গায়ে তেল ঢেলে আগুন দিয়ে দেয়।”
|
নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি ও পাচারের অভিযোগে রবিবার দুই মহিলা-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল আলোয়ার বিবি, আসমা বিবি ও শেখ দিলদার। প্রথম দু’জনের বাড়ি বোলপুরের ভূবনডাঙায়। শেখ দিলদারের বাড়ি বোলপুরের দর্জিপটিতে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “বেআইনি ভাবে নির্দিষ্ট কিছু ড্রাগ বিক্রি ও পাচারের অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে কিছু ড্রাগ ও তরল ওষুধ।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে বোলপুরের আইসি কমল বৈরাগ্য এ এএসআই সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান। কবিগুরু ক্রীড়াঙ্গনের পাশের লাগোয়া এলাকা, ডাকবাংলো ময়দান থেকে আলোয়ার বিবি ও আসমা বিবি নামে দুই মহিলাকে পাকড়াও করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪০ সিসি ‘কোরেক্স’ এবং ২০০ স্ট্রিপ নিষিদ্ধ ড্রাগ উদ্ধার করা হয়। পরে শেখ দিলদার নামে এক পাচারকারীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
|
হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা, চিকিৎসকদের কাজের সময়ের তালিকা টাঙানো-সহ নানা দাবিতে বুধবার নলহাটি ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্মারকলিপি দিলেন ব্লক ও শহর বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের আরও দাবি, বিএমওএইচ স্বস্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল চিকিৎসক। তাঁকে সব সময়ের জন্য ডিউটি করতে হবে। বিএমওএইচ বলেন, “প্রতি বৃহস্পতিবার আমি হাসপাতালে থাকি। প্রশাসনিক কাজও আছে। সেখানেও সময় দিতে হয়।” অন্য দাবিগুলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিন জন সুইপারের পরিবর্তে এক জন আছেন। তাঁকে নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। আরও দু’জন সুইপার নিয়োগের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বার থেকে চিকিৎসকদের কাজের সময়ের তালিকা টাঙানো হবে।”
|
পাঠভবনের সেই ছাত্রী অন্য স্কুলে |
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেয়েকে আর পাঠভবনে পড়াবেন না। তাই বুধবার ‘নির্যাতিত’ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করলেন তার অভিভাবক। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রজ্ঞাপারমিতা বসুর সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রীটির বাবা। প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “ওই ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।” ছাত্রীর বাবা বললেন, “মেয়ে পাঠভবনে পড়তে চাইছে না। তাই এখানে ভর্তি করলাম।”
|
বেআইনি ভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের লোগো ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ভিন্ন একটি কোম্পানির তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করার অভিযোগে পাঁচ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রামপুরহাটের হাটতলা এবং মহাজনপট্টি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তামাক জাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়। রামপুরহাটের এসডিপিও অবধেষ পাঠক বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থ কোম্পানির বিশেষজ্ঞ দল রামপুরহাটের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে কোথায় বেআইনি ভাবে ওই মালগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল তা নজরে আনেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৫ জনকে আটক করা হয়।” |