আবেগ সরিয়ে পাকিস্তানের জন্য তৈরি হতে হবে: ধোনি |
আবেগকে সরিয়ে রেখে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সিরিজের জন্য তৈরি হবে। ঠিক যে ভাবে কোনও পেশাদার তার কাজের জন্য প্রস্তুতি নেয়। পাঁচ বছর পর ভারত-পাক ক্রিকেট সিরিজের পুনরাগমন সম্পর্কে এই অভিমত মহেন্দ্র সিংহ ধোনির।
ভারত অধিনায়ক অবশ্য স্বীকার করেছেন, “প্রতিপক্ষের নাম যখন পাকিস্তান তখন ওই সিরিজের সঙ্গে আমাদের সম্মান ভীষণ ভাবে জড়িয়ে থাকবে। প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।” শ্রীলঙ্কা সফরের আগে দু’দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে চেন্নাইয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ধোনির দিকে স্বভাবতই জয়বর্ধনেদের প্রসঙ্গের প্রায় সমান প্রশ্ন ছুটে আসে ডিসেম্বরে দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত সিরিজ নিয়ে। ধোনি বলেছেন, “যখন ভারত-পাক সিরিজের কথা ঘোষিতই হয়ে গিয়েছে, তখন আমাদের তার জন্য তৈরি হতে হবে। যে ভাবে পেশাদার ক্রিকেটারদের কোনও আন্তর্জাতিক সিরিজের জন্য তৈরি হতে হয়, সে ভাবে আমাদেরও প্রস্তুত হতে হবে। আবেগকে সরিয়ে রেখে। আবেগের কথা আসছে এ জন্য যে, ওই সিরিজে আমাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।” |
ও দিকে, ইসলামাবাদে ইমরান খান এ দিন ভারত-পাক ক্রিকেটীয় সম্পর্ক পুনর্স্থাপন হওয়া নিয়ে মুখ খোলেন। প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী পাক অধিনায়ক তথা বর্তমান পাক রাজনীতির অন্যতম মুখ্য চরিত্র ইমরান বলেছেন, “ভারতের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। যা কিছুই এই দু’দেশের সম্পর্ককে স্বাভাবিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ করবে তাকেই আমাদের প্রশংসা করা উচিত। ভারতের আবার পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট সিরিজ চালু করার সিদ্ধান্ত সে রকমই একটা প্রশংসিত হওয়ার মতো ঘটনা।” দু’দেশের রাজনৈতিক সমীকরণের পাশাপাশি ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণেও ভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ইমরান প্রশংসা করেছেন। “ক্রিকেটের মাঠে ভারত-পাকিস্তান লড়াই বিশ্বে খেলাধুলোর মহান প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভারত-পাক ম্যাচ যত হবে, তত ক্রিকেটেরই উপকার হবে। কারণ এই দু’দেশের মধ্যে ম্যাচ মানেই গোটা ক্রিকেট বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক সেই ম্যাচ দেখবে।”
ইমরান অবশ্য ভারত-পাক ম্যাচের টেনশনকে অস্বীকার করছেন না। “ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ সব সময় স্পেশ্যাল। দু’দলের ওপরই বিরাট টেনশন থাকে। যারা সেই বিশাল চাপ সামলাতে পারে, দিনের শেষে বিজয়ী হিসেবে মাঠ ছাড়ে,” বলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ইমরান দু’দেশের শেষ সাক্ষাৎ, ২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের উদাহরণ টেনেছেন। “মোহালির সেই ম্যাচে অপরিসীম টেনশন আর উত্তেজনা ছিল। ভারত গোটা ম্যাচে অনেক ভুল করেও শেষ পর্যন্ত জিতে গিয়েছিল। কারণ পাকিস্তান দল মাঠে ভারতের থেকেও অনেক বেশি ভুল করেছিল।”
শাহিদ আফ্রিদির কাছে আবার ভারত-পাক সিরিজের জনপ্রিয়তাই মুখ্য। চাপ বা টেনশনের থেকেও। “ভারত-পাক সিরিজের জনপ্রিয়তা অ্যাসেজের চেয়েও বেশি,” বলেছেন তিনি। সঙ্গে আফ্রিদি যোগ করেছেন, “দু’দলের ওপর প্রচুর চাপও থাকে। তবে এই দু’দেশের একে অন্যের বিরুদ্ধে খেলার মধ্যে একটা আলাদা উত্তেজনাও আছে।” মিসবা-উল-হক আবার বলছেন, “দু’দেশের অগুণতি ক্রিকেটপ্রেমী এই সিরিজটা দেখতে এত দিন মুখিয়ে ছিল। সুতরাং ডিসেম্বরে সীমান্তের দু’প্রান্তেই যে কী সাংঘাতিক উন্মাদনা তৈরি হবে সে আর বলার নয়!” |