টানা ৩ দিন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদ দফতর ঘেরাও করলেন পাণ্ডুয়ার নিয়ালা-নামাজগ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারগ্রামের বাসিন্দারা। পথ-অবরোধও করা হয়। কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। বিদ্যুৎ দফতর ও স্থানীয় সূত্রের জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় সম্প্রতি ১০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সফর্মার লাগানো হয়। গত শনিবার সেটি বিকল হয়ে যায়। সেই থেকেই লোডশেডিং। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাঝে তিন দিন কেটে গেলেও নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। বার বার পর্ষদের স্থানীয় দফতরে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ ভ্রূক্ষেপ করেননি। অবিলম্বে বিদ্যুতের দাবিতে এ দিন কয়েকশো গ্রামবাসী পাণ্ডুয়া মেলাতলায় পর্ষদের দফতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। কর্মীদের ভিতরে ঢুকতে দেননি তাঁরা। পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বিদ্যুৎ দফতরের আশ্বাসে বিক্ষোভ-অবরোধ উঠে যায়। পাণ্ডুয়া বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “বিকল্প একটি ট্রান্সফর্মার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিও খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে আমাদের কাছে ১০০ কেভির আর ট্রান্সফর্মার না থাকায় ওখানে লাগানো যাচ্ছে না। তবে, ওই এলাকায় একটি ট্রান্সফর্মারের ক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। অবাধে হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়। অবৈধ হুকিং বন্ধ না করলে, ট্রান্সফর্মার বিকল হবেই। বার বার বলা সত্ত্বেও গ্রামবাসীরা সে দিকে নজর দিচ্ছেন না।”
|
ঘর থেকে উদ্ধার হল মহিলার হাত-পা বাঁধা, গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো দেহ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানের পিপুল্যান গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মুর্শিদা বেগম (২৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মুর্শিদা বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু বছর কয়েক আগে স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে তিনি মায়ের কাছেই থাকতেন। তাঁর মা মুক্তারণ বিবি ঘোড়াঘাটা বাজারে ফল বিক্রি করেন। সোমবার রাতে একটি ঘরে ছোট ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন মুর্শিদা। তাঁর বড় ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে পাশের ঘরে শুয়েছিলেন মুক্তারণ। তিনি মঙ্গলবার ভোরে পাইকারি বাজারে ফল কিনতে চলে যান। পুলিশের অনুমান, মুক্তারণ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ দিন খুব সকালে পাশের বিছানাতেই মাকে হাতে পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁর ছোট ছেলে চিৎকার করে ওঠে। মুর্শিদাদের বাড়ির বাইরের দেওয়ালে একটি কাগজ সাঁটানো ছিল। তাতে লেখা ছিল ‘এটাই সেই বাড়ি’। তাঁর ঘরের ভিতর থেকে একটি কাগজ পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল ‘চুরির পরিণাম’। এই কাগজটিতে একজন ব্যক্তির নামও লেখা ছিল। জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কাগজগুলি কারা সাঁটিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
অবশেষে পুলিশি নিরাপত্তায় কৃষক সভার সম্মেলন হল গোঘাটের সিপিএম জোনাল কমিটির কার্যালয়ে। এর আগে গত দেড় বছরে সিপিএম দলীয় কার্যালয়ে কোনও সভা করতে পারেনি। জোনাল কার্যালয়ে দু’বার বিশেষ সভার জন্য জমায়েত হলেও তাতে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালের সভা পুলিশের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন ছিল র্যাফ এবং পুলিশ। সভা চলাকালীন কোনও অশান্তি না হলেও দলীয় কর্মীরা সম্মেলনে আসা এবং ফেরার পথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন বলে সিপিএমের গোঘাট জোনাল সম্পাদক অরুণ পাত্রের অভিযোগ। গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয়।”
|
এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি আরামবাগের সালেপুর গ্রামের। গত শুক্রবার আল্পনা বাগ (২২) নামে ওই তরুণীকে গুরুতর অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। আল্পনার মা তাপসী বাগের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের উপর শারিরীক নির্যাতন চলছিল। শ্বশুরবাড়ির লোক মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ তাঁর। আল্পনার স্বামী নিমাই বাগ, মামাশ্বশুর-সহ অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানায় পুলিশ।
|
সোমবার ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া ঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল এক বালক। মঙ্গলবার তার দেহ উদ্ধার হল খড়দহ থেকে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাজেশ পাসোয়ান (১৩)। বাড়ি তেলেনিপাড়ায়। সে তেলেনিপাড়া শাস্ত্রী হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।
|
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ চলায় সময় মিলল হাড়গোড়। মঙ্গলবার সকালে আরামবাগের ডহরকুণ্ডু গ্রামে দ্বারকেশ্বরের চর থেকে উদ্ধার হওয়া খুলি মানুষের বলেই মনে করছে পুলিশ। খনন করে পরে আরও কিছু হাড়গোড় মিলেছে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার মুখে এক তরুণীকে বাঁচালেন স্থানীয় যুবকেরা। পরে থানার মাধ্যমে তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার, বালি ব্রিজের ঘটনা। পুলিশ জানায়, আড়িয়াদহের বাসিন্দা ওই তরুণী টবিন রোডে একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। এ দিন তিনি বালি ব্রিজে এসে আচমকাই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। তখন জেটিয়া ঘাটে স্নান করছিলেন কয়েক জন। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করেন। |