রাতের অন্ধকারে দু’টি মোটরবাইক নিয়ে পাঁচ যুবক গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দাঁড়িয়ে ছিল রাজারহাটের চিনার পার্কের মোড়ে। তারা অপেক্ষা করছিল আরও কয়েক জন সঙ্গীর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর কমিশনারেট ও বাগুইআটি থানার পুলিশ একযোগে হানা দিয়ে হাতেনাতে ধরল তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ৪৫০ রাউন্ড গুলি, ১৩টি নাইন এমএম পিস্তল ও একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে এক লক্ষ টাকার জাল নোট এবং ১০টি মোবাইল ফোনও।” পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গুলি এস এল আর, নাইন এমএম পিস্তল ও থ্রি নট থ্রি বন্দুকের জন্য ব্যবহার করা যায়।
কিন্তু এত রকমের গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র কী উদ্দেশ্যে ওই যুবকেরা রাজারহাটে নিয়ে এসেছিল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। রাজারহাটে অস্ত্র উদ্ধার এই প্রথম নয়। এর আগেও বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজারহাটের মহিষবাথান এলাকায় একটি পুকুরের পাড়ে ঝোপের ভিতর থেকে প্রচুর অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। এর পরেও বিভিন্ন সময়ে রাজারহাট থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ দিনের এত পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি ভয় দেখিয়ে বেআইনি সিন্ডিকেট চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে রাজারহাটে? |
রাজীব কুমার বলেন, “ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজারহাটের সিন্ডিকেট চক্র-সহ সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতেরা কাদের জন্য অপেক্ষা করছিল, সে ব্যাপারে তাদের জেরা করা হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিকাশ গন, জিতেন সিংহ, দেবজ্যোতি ঘোষ, সঞ্জয় সিংহ ও সুরজিৎ দাস। সকলেরই বয়স ২২ থেকে ২৫-এর মধ্যে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ওই যুবকেরা তাদের কিছু সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করছিল। তাদের হাতেনাতে ধরার পরেই ওই যুবকদের কাছ থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বাগুইআটি জোড়ামন্দির এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকেও বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। কোনও আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ী ও জাল নোটের কারবারির সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |