বিরাট স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে মহাকাশযানের অন্দর আর সেখানে ভাসছেন ছয় নভশ্চর। সকলেরই মুখে চোখে আনন্দ আর উৎসাহ মিলেমিশে একাকার। তার মধ্যেই ডান দিকের কোণে বসে থাকা হাসিমুখ বলে উঠলেন, “এখানে আমাদের দারুণ সময় কাটছে!”
৪৬ বছর বয়সী সুনীতা উইলিয়ামসের খুশির ছোঁয়া তখন নাসার কন্ট্রোল রুমেও! দু’দিনের যাত্রা শেষে সুনীতা-সহ তিন নভশ্চরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশযান সোয়ুজ। গত ১৫ জুলাই কাজাখস্তানের বৈকানুর মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রওনা হয়েছিল এটি। আজ ভারতীয় সময় সকাল ১০টা ২১ মিনিটে আইএসএস-এ পৌঁছয় সোয়ুজ। তিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস, ইউরি মালেনশেঙ্কো আর আকিহিকো হোশিদে সেখানে যোগ দিলেন তাঁদের আরও তিন সহকর্মীর সঙ্গে। মহাকাশ থেকেই ছ’জন আজ ভিডিও কনফারেন্স করেন নাসার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে।
|
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতার এটি দ্বিতীয় মহাকাশ সফর। ২০০৬-এ প্রথম বার মহাকাশে গিয়ে ১৯৫ দিন আইএসএস-এ কাটিয়েছিলেন তিনি, মহিলা মহাকাশচারীদের মধ্যে যা দীর্ঘতম। আজ নাসার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তাই ঘরে ফেরার আনন্দ ধরা পড়ল ‘সুনি’র গলায়। মাধ্যাকর্ষণ বিহীন পরিবেশে ভাসতে ভাসতে তিনি বললেন, “এখানে ফিরে দারুণ লাগছে। আমাদের নির্বিঘ্নে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ!” জানালেন, আইএসএস-এ পৌঁছনোর পর সহকর্মীদের কাছ থেকে দুর্দান্ত অভ্যর্থনা পেয়েছেন তাঁরা। দু’দিনের সফরটা কেমন ছিল? সুনীতার উচ্ছ্বসিত জবাব, “দারুণ মজার। কোনও কাজ ছিল না। শুধু খেয়েছি আর ঘুমিয়েছি।” খুব শিগগিরই তাঁরা কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সুনীতা।
নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আইএসএস-এ থাকবেন সুনীতারা। তাঁদের আগে নাসার যে দলটি সেখানে কাজ করছিল, তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা ১৭ সেপ্টেম্বর। তার পর থেকে তিন সদস্যের এই দলটির কম্যান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন সুনীতা। তাঁর নেতৃত্বে মহাকাশে অন্তত তিরিশটি গবেষণা চালাবে এই দলটি। |