নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা আনলেন পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যেরা। সোমবার নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বড়লা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে নলহাটি ১ বিডিওর কাছে ওই অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে। বিডিও তাপস বিশ্বাস বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বড়লা পঞ্চায়েতে সদস্যের সংখ্যা ১২। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ওই পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থান কংগ্রেস ৪, সোস্যালিস্ট পার্টি ৪, সিপিএম ২ এবং বিজেপি ২। লটারির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন দীনবন্ধুবাবু। প্রধান, কংগ্রেসের দীনবন্ধু মালের বিরুদ্ধে দুর্নীতিমূলক কাজকর্মের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দলের ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্য ওই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন।
কংগ্রেসের অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ, দীনবন্ধুবাবু দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে কংগ্রেসের ৩ সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন সোস্যালিস্ট পার্টির ৩, সিপিএমের ২ এবং বিজেপির ২ সদস্য। তাঁদের দাবি, “প্রধানের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আমরা অনাস্থা এনেছি।” কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যেরা বলেন, “দীনবন্ধুবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।” যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে দীনবন্ধুবাবু বলেন, “আমি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিইনি।
আমার পরিবারের কেউ কেউ তৃণমূলে গেলেও আমি এখনও কংগ্রেসেই আছি।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করেছেন দীনবন্ধুবাবু। |