দিনভর বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরেও সমস্যা মিটল না বলে অভিযোগ তুললেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বাঁকুড়া, বীরভুম, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, কলকাতা, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রায় হাজার খানেক পরীক্ষার্থী জড়ো হন রাজবাটিতে। তাঁরা ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ ও সভাপতি নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি সংগঠনের দুই তৃণমূল নেতা সীতারাম মুখোপাধ্যায় ও বাসুদেব সিংহরায়ের সঙ্গেও দেখা করেন। পরে পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। পরে রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সুকুমার মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বৈঠকে স্থির হয়, পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনে এমএ এবং এমকম পার্ট ২-র পরীক্ষা পিছনো হবে। কিন্তু এমএ বা এমকম পার্ট-১ পরীক্ষায় নির্দিষ্ট বিষয়ে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে নির্দিষ্ট দিনেই। কারণ এই পরীক্ষা নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নেওয়া হবে। |
তার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রও স্থির করা হয়েছে, পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতিও অন্তিম লগ্নে। অবশ্য রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন চাইলে পরীক্ষার্থীরা খাতা রিভিউ করাতে পারবেন।
তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি অন্য পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রায় এক বছর পরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও এমএ বা এমকম পার্ট ১ পরীক্ষার মাকর্শিট এখনও হাতে পাননি তাঁরা। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কী করে নির্দিষ্ট বিষয়ে ফেল করা ছাত্রদের পরীক্ষায় বসতে বলছেন? তাঁরা জানান, “প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাবো বা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”
পার্ট ১ পরীক্ষা পিছনো-সহ প্রায় ১০ দফা দাবি নিয়ে পরীক্ষার্থীরা একটি গণসাক্ষর করা চিঠিও সীতারামবাবুর হাতে তুলে দেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেন, “পার্ট-১ পরীক্ষা পিছবার দাবি নিয়ে আমি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবো। আগামী ২৫ জুলাই, বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। ” |