সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গে কৃষক-মৃত্যু এবং কৃষকদের হালহকিকত সম্পর্কে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যে ৬০ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা হয়েছে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয়। আবেদনকারীর আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, কৃষকদের এই আত্মহত্যা নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও মন্তব্য করেনি। কেন এই আত্মহত্যা, তার কোনও ব্যাখ্যাও নেই। মহারাষ্ট্রে যখন তুলোচাষিরা আত্মহত্যা করেছিলেন, একটি সংস্থাকে তার কারণ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিল মহারাষ্ট্র হাইকোর্ট।
রবিশঙ্করবাবু বলেন, কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য দর পাচ্ছেন না। সরকার নির্দিষ্ট সহায়ক মূল্যে তাঁদের ফসল কেনা হচ্ছে না। তাঁরা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন, কিন্তু ফসল ওঠার পরে তা বিক্রি করতে পারছেন না। যে-দরে বিক্রি হচ্ছে, তাতে ঋণ শোধ করা অসম্ভব। এই অবস্থায় অন্য কোনও পথ না-পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন কৃষকদের কেউ কেউ।
এ ভাবে ৬০ জনের মৃত্যুর পরেও সরকার উদাসীন।
রাজ্য সরকারের পক্ষে বলা হয়, অভাবের জন্য এক জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী এই ব্যাপারে মহারাষ্ট্রের ধাঁচে কোনও সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার আর্জি জানান। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার হলফনামা দিয়ে এই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাক। পরবর্তী কালে প্রয়োজনে আবেদনকারীর আর্জি সম্পর্কে বিবেচনা করা হতে পারে।
|
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে স্থগিত কর্মবিরতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আলোচনায় বসার আশ্বাস দেওয়ায় কর্মবিরতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠন কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা ‘কুটাব’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ শুক্রবার বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী ফোন করে আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। তিনি সোমবার দুপুরে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানান। আপাতত শনি ও সোমবার আমরা কাজে যোগ দেব।” তবে দাবি মানা না-হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান গৌরাঙ্গবাবু। আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বকেয়া মেটানো, মাসপয়লা বেতন, পূর্ণ সময়ের কাজের অধিকার, সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো-সহ বিভিন্ন দাবিতে ১২ জুলাই থেকে কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন তাঁরা। |