|
|
|
|
জিটিএ ভোট |
তৃণমূল প্রার্থীদের ‘প্রহরা’য় পুলিশ, কটাক্ষ সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
‘ভোট বিষয় প্রশিক্ষণ নিতে’ শিলিগুড়ির সরকারি অতিথি নিবাসে থাকা জিটিএ ভোটের তৃণমূল প্রার্থীদের নজরদারির জন্য পুলিশ মোতায়েন করল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সংলগ্ন যুব আবাস এবং পুরসভার অতিথিশালার সামনে পুলিশি নজরদারি শুরু হয়। যদিও শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা জানান, রুটিন নজরদারি চলেছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য প্রার্থীদের শিলিগুড়িতে রাখা হয়েছে। একটি জায়গায় এক প্রার্থীর কয়েকজন আত্মীয় দেখা করতে যাওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সে জন্য হয়তো পুলিশ গিয়েছিল।” তৃণমূল সূত্রের খবর, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নির্বাচনে (জিটিএ) তৃণমূল ১৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। এ ছাড়াও ৩ জন নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল দল। বুধবার কালিম্পংয়ের বং-দূরপিন এলাকার তৃণমূল প্রার্থী গৌতম কালিকোটে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। তৃণমূলের সমর্থনে দাঁড়ানো নির্দল প্রার্থীরাও নাম প্রত্যাহার করে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক প্রার্থীর অভিযোগ, মোর্চার তরফে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এলাকায় ঢুকলে মোর্চা সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে এই আশঙ্কাতেই ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কার্শিয়াংয়ের পাঙ্খাবাড়ি-অম্বুটিয়া কেন্দ্রে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী নিশাল পাখরিন সরকারি অতিথিশালা থেকে চলে যান। বিকালে জানা গিয়েছে, নিশাল পাখরিন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তৃণমূলের ১৭ জন প্রার্থী মোর্চা প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। সিপিএমের ৮ জন প্রার্থী আগেই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। এ দিন সিপিএম বাকি প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দার্জিলিং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকারের অভিযোগ, “তৃণমূলের প্রার্থীদের শিলিগুড়িতে সরকারি আবাসনে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। সরকারি দল বলে তাঁরা হয়ত ওই সুবিধে পাচ্ছে। আমাদের প্রার্থীদের সরকারি আবাসনে রাখা সম্ভব নয়, পুলিশও তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। ফলে আমরা নির্বাচন থেকে আমাদের প্রার্থীরা নাম তুলে নিয়েছে।” মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক বিনয় তামাং বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। পাহাড়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। ২৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি আমরা। অন্য দলের প্রার্থীদের কেন ভয় দেখাতে যাব।” এ দিন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ কালিম্পংয়ের কর্মী সঞ্চবীর সুব্বাকে দল থেকে বহিস্কার করার কথা ঘোষণা করেন। ওই মোর্চা সদস্য কালিম্পংয়ের গিতদাবিং-নিমবং কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে মোর্চার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন। |
|
|
|
|
|