|
|
|
|
ভবন সংস্কারের আর্জি কমিটির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাসের দিনক্ষণ স্থির হয়ে যাওয়ার পরে এবার অস্থায়ী ভবনেরও দ্রুত সংস্কারে উদ্যোগ নিক জেলা প্রশাসন, এই আর্জি নিয়েই প্রশাসনের দ্বারস্থ হবে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ সমন্বয় কমিটি। আগামী ১৮ অগস্ট জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ন পটেলও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। সমন্বয় কমিটি চাইছে দেরি না করে অস্থায়ী ভবনেও সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু হোক। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের সংস্কার কাজের লিখিত নির্দেশ এখনও জেলায় এসে পৌঁছয়নি। বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন তথা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর রক্ষনাবেক্ষণের ভার পূর্ত দফতরের ওপরে। সমন্বয় কমিটির আর্জি, প্রশাসন নির্দেশ দিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করুক। বছর পাঁচেক আগেই জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া জেলা পরিষদ ডাকবাংলো পুর্ননির্মাণ করে সার্কিট বেঞ্চের কাজ চালানোর উপযুক্ত করা হয়। দোতলা ভবনের দুটি তলায় মোট চারটে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এজলাস তৈরি করা হয়েছে। বিচারপতিদের বসার ঘর, অফিস, বার লাইব্রেরী, নিরাপত্তা কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাকবাংলো চত্বরে. অস্থায়ী ভবনের পরিকাঠামো তৈরি করে ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাসে বিচারবিভাগকে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়। তার পরে বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের সময় অল্পবিস্তর মেরামতির কাজ করা হয়। অস্থায়ী পরিকাঠামো শেষ পরিদর্শন হয়েছে বছর দুয়েক আগে। সে কারণে এই সময়ে অস্থায়ী ভবনের রক্ষনাবেক্ষণ বন্ধই ছিল। অস্থায়ী ভবন তথা ডাকবাংলো চত্বরটি বর্তমানে আগাছায় ভরে গিয়েছে। ভবনের এক অংশে দেওয়ালের কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। |
|
—ফাইল চিত্র। |
জানালার কাঁচও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশে পলেস্তার খসে পড়েছে। দেওয়ালের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। ভবনটির আমুল সংস্কার প্রয়োজন। তাই ওই কাজ দ্রুত শুরু চাইছে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মহল। সমন্বয় কমিটির সম্পাদক কমলকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলন্যাসের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কবে থেকে অস্থায়ীভবনে বেঞ্চের কাজ শুরু হতে পারে তার বিষয়ে খোঁজখবর করতে একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় যাবে বলেও স্থির হয়েছে। যেহেতু শিলান্যাসের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সে কারণেই আমরা চাইছি দ্রুত অস্থায়ী ভবনের সংস্কারের কাজও শুরু হোক। সরকারি নির্দেশ আসার আগেও এই কাজ শুরু করে দেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে দরবার করা হবে।” জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় অস্থায়ী ভবন ছাড়াও সার্কিট হাউসের সম্প্রসারিত অংশ এবং তিস্তাভবনে বিচারপতিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কম্পোজিট কমপ্লেক্সের ১২০টি আবাসনে বেঞ্চের কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলিরও সংস্কার করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে এবার অস্থায়ী ভবনের দ্রুত সংস্কার শুরু হোক। এ বিষয়ে আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। |
|
|
|
|
|