হাঁসফাঁস গরমে খাঁ-খাঁ করছিল মাঠ। রোদ্দুর পড়লেও দেখা মিলছিল না কচিকাঁচাদের।
দু’দিনের বৃষ্টিতে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। আর তার সঙ্গেই চেনা মেজাজে ফিরছে করিমপুর। করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক দীপঙ্কর সাহা বলেন, “প্রচন্ড গরমে মাঠে দেখা মিলছিল না খেলোয়াড়দেরও। ২০১২-১৩ মরসুমের ফুটবল লিগ নিয়ে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকতারা সকলেরই খানিকটা সংশয় ছিল। অবশেষে স্বস্তি মিলল বৃষ্টিতে। এ দিকে আবার ভেঙে গিয়েছে ক্রীড়া সংস্থা। তবে আদালত ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে রায় দেওয়ায় আমরা আশ্বস্ত হই।”
আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবল লিগ। এ বারে লিগে ৪১ টি দল যোগ দিচ্ছে। করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনিয়র ফুটবল লিগে ১৫টি, সিনিয়র প্রথম বিভাগে ১০টি , সিনিয়র দ্বিতীয় বিভাগে ৯টি ও সিনিয়র তৃতীয় বিভাগে ৭টি দল খেলবে। খেলা চলবে করিমপুর, শিশা, ধোড়াদহ, সেনপাড়া, মহিষবাথান, গোয়াশ, যমশেরপুর, শিকারপুর, কেচুয়াডাঙা ও ফুনকোতলার মাঠে। ক্রীড়া সংস্থার সুজিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘অন্য বার জুনের প্রথম সপ্তাহেই আমরা লিগের খেলা শুরু হয়। এ বার একটু দেরি করে হলেও শেষপর্যন্ত লিগটা যে হচ্ছে এটাই আমাদের কাছে বিরাট ব্যাপার।” সুজিতবাবুর কথায়, ‘‘কয়েক বছরে ক্রীড়া সংস্থা প্রত্যন্ত গ্রামগুলো থেকে বেশ কিছু খেলোয়ারকে তুলে আনা হয়েছে। এ বারে এত খেলোয়ার এই লিগে যোগ দিয়েছে যে সিনিয়র তৃতীয় বিভাগটিই চালু করতে হল।’’ ইতিমধ্যেই লিগের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচও। বৃহস্পতিবার মহিষবাথান মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল করিমপুর জামতলা নবারুণ সঙ্ঘ ও মহিষবাথান বিনয় বাদল দিনেশ ক্লাব।
অবশেষে লিগ শুরু হওয়ায় ব্যাপক খুশি তনয় পাল, ফরিদ সেখ কিংবা আবুল কালাম মণ্ডলদের মত ফুটবলাররা। তাঁদের কথায়, ‘‘ইউরো কাপের প্রতিটি খেলা খুঁটিয়ে দেখেছি। গরম কমে যেতেই মাঠে অনুশীলনও চলছে জোরকদমে। এ বার লিগে নিজেদের শুধু প্রমাণ করার পালা। ইউরো কাপ দেখে আমরা কে কতটা শিখতে পেরেছি চলবে তার পরীক্ষাও।’’ |