তিনি কোথায় খেলবেন, তা নিয়ে বিতর্ক এখনও মেটেনি। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মোহনবাগান অনুশীলনে নেমে পড়লেন টোলগে ওজবে এবং প্রস্ততি ম্যাচে দুটো গোলও করলেন।
ম্যাচ খেলাকালীন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের পায়ে দেখা গেল সেই পুরনো টাচ। চালচলনেও সেই পুরনো টোলগে। শুধু জার্সির রং আলাদা। পুরনো ক্লাবের সতীর্থ নির্মল ছেত্রীর সঙ্গে হাসি-ঠাট্টাও যেমন করলেন, কোচ সন্তোষ কাশ্যপের পরামর্শও শুনলেন মন দিয়ে। আগের দিনের মতো সেই বিশাল ভিড় এ দিন ছিল না মোহনবাগান মাঠে। যাঁরা ছিলেন তাঁরা হাততালি দিলেন টোলগের গোল দু’টির সময়। যার মধ্যে একটি ফ্রি-কিক থেকে। আর একটি কিছুটা দূর থেকে নেওয়া শটে।
টোলগের গোলের কথা না জানলেও মাঠে নামার খবর পৌঁছে গিয়েছিল লাল-হলুদ তাঁবুতে। যেন কোনও কিছুই হয়নি, সেই ভঙ্গিতেই তিনি বললেন, “শুনেছি ও প্র্যাক্টিসে নেমেছে। ও তো মোহনবাগানের ফুটবলার, নামতেই পারে।” উল্টে বরং লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচের প্রশ্ন, “টোলগেকে নিয়ে এত মাতামাতি হচ্ছে কেন? নির্মল ছেত্রী কিংবা সন্দীপ নন্দীও তো চলে গিয়েছে। ওদের নিয়ে তো কোনও কথা উঠছে না। টোলগে বিষয়টা নিয়ে মিডিয়া বাড়াবাড়ি করছে।” সাংবাদিকদের উপর থেকে এ দিন অনুশীলনে ঢোকার নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেল। |
অন্য দিকে টোলগে-প্রসঙ্গ নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিল ইস্টবেঙ্গল। আইএফএ-র প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “আগে আইএফএ-র প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি কী করে দেখি। তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
এ দিকে শনিবার দুপুরের সভা আই এফ এতে হচ্ছে না। হচ্ছে এয়ারলাইন্স ক্লাব তাঁবুতে। আইএফএ-তে তখন শেষ দিনের সই পর্ব চলবে। বৈঠকে অবশ্য টোলগে বা ইস্টবেঙ্গল কেউ-ই থাকবে না। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আদালত আমাকে আলোচনা করতে বারণ করেনি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু সেটা তখনই প্রকাশ করব কি না, সেটা সভায় ঠিক করব। আমাদের সভায় এক জন আইনজীবীও থাকবেন।” |