‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডের’ জন্য কেনা পুরসভার জমির পাশাপাশি বিকল্প অস্থায়ী জায়গা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে মহকুমা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক অমলকান্তি সরকার জানান, শুক্রবার সার্কিট হাউসে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যা সমাধানের ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। গত বুধবার মাঝের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডাকা বৈঠক পুরসভার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। আলিপুর দুয়ার শহরের ময়লা ফেলার স্থায়ী জায়গা নেই। বার বার বাধার মুখে শহরের জঞ্জাল সাফাই বন্ধ রাখার সিধান্ত নেয় পুরসভা। ১২ দিন ধরে শহরের জঞ্জাল সাফাই বন্ধ রেখেছে পুর প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন এলকায় জমছে জঞ্জাল। মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য কেনা জায়গায় প্রয়োজনীয় অনুমতি স্থানীয় পঞ্চায়েত না দেওয়ায় বৈঠক ডেকেছেন মহকুমা শাসক। আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় জানান, পুরসভা স্থানীয় একটি প্রশাসন। মহকুমা প্রশাসনের উচিত শহরের সমস্যা সমাধানে পুর প্রশাসনকে সাহায্য করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। যেভাবে শহরের জনবসতি দিন দিন বাড়ছে এখনই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টর বিষয় পদক্ষেপ করা না হলে সমস্যা বাড়বে বলে দেবপ্রসাদবাবু জানান। তিনি বলেন, “আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের বিষয় কথা বলেছি।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যানের দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আশা করি প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।”
|
কাঁসাই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্তের কাছে স্মারকলিপি দেয় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির এক প্রতিনিধিদল এ দিন ভূমি সংস্কার দফতরে আসে। মোর্চার অভিযোগ, মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন বাস-ব্রিজ থেকে রেল-ব্রিজ পর্যন্ত কাঁসাই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা, খনন চলছে। এর ফলে সরকারের রাজস্বও ফাঁকি পড়ছে। অথচ, জেলা প্রশাসন উদাসীন। অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধ না-হলে জোরদার আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে মোর্চা।
|
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক বালিকার। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বৈতল গ্রামে। মৃতার নাম কেকা দাস (১২)। কেকার কাকা বাসুদেব দাস জানান, দুই ভাইঝি খাটে শুয়ে ছিল। রাত ১২টা নাগাদ একটি সাপ কেকাকে ছোবল মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই কেকার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
|
ছবিটি তুলেছেন রাজকুমার মোদক। |
অবশেষে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। ছাগলের লোভে লতা পাতায় মোড়া খাঁচায় ঢুকে বন্দি হল পূর্ণবয়স্ক একটি চিতাবাঘ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে ফালাকাটা থানার কাদম্বিনী চা বাগানে। বছর ছয়েকের পুরুষ চিতাবাঘটি আকারে এতটাই বড় যে বন্দি হওয়ার পরে লম্ফঝম্প করায় খাঁচার কয়েকটি শিক ভেঙে যায়। জেগে থাকলে যে কোনও সময় সেটি খাঁচা ভেঙে বেরোতে পারে আশঙ্কায় বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হন। বেশ কিছুদিন ধরে ওই চা বাগানে চিতাবাঘের উৎপাত চলছে। কয়েকজন শ্রমিক চা গাছের ঝোপে ছানাপোনা নিয়ে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতেও দেখেন। আতঙ্কে শ্রমিকেরা পাতা তুলতে যাচ্ছিলেন না। বুধবার চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা বসায় জলদাপাড়ার বনকর্মীরা। কাকভোরে চিতাবাঘের গর্জনে ঘুম ভাঙে শ্রমিকদের। চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন শ্রমিকরা। এদিন বিকালে চিতাবাঘটিকে জলদাপাড়ার জঙ্গলে ছাড়া হয়।
|
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল বাইসনের। বৃহস্পতিবার ভোরে চাপড়ামারির জঙ্গলে রেল লাইনের পাশ থেকে ওই স্ত্রী বাইসনটির দেহ উদ্ধার হয়। চালসার অ্যাসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেটর অব ফরেস্ট সুরত্ন শেরপা বলেন, “লাইন পার হওয়ার সময়ে সম্ভবত বাইসনটি ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়।” তবে রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সহকারী ডিআরএম ইন্দ্রজিৎ সিংহ জানান, এই ধরনের ঘটনার কোনও খবর তাঁদের কাছে নেই। এদিন বাইসনের দেহের একাংশের সন্দেহজনক ভাবে কাটা থাকায় বনকর্মীদের সন্দেহ, স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত বাইসনের দেহের মাংস নিয়ে গিয়েছেন। যদিও এসিএফ জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা সম্ভব নয়। ফের ট্রেনের ধাক্কায় মাইসনের মৃত্যুর জেরে ক্ষুব্ধ পরিবেশ প্রেমীরা। নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সংস্থার পক্ষ থেকে বন দফতর ও রেলের মধ্যে সমণ্বয় বাড়ানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানান। সংগঠনের সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় বাইসনের মৃত্যু দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে তিনি উদ্যোগী হবে বলে আশা করি।” |