|
|
|
|
বাতি বসানোয় অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন উলুবেড়িয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
রাস্তার সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে বসানোর কথা ছিল ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ। ‘সৌন্দর্যায়নের’ লক্ষে সে ভাবেই কাজ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকাতেও বাতি বসেছে। কিন্তু রাস্তার সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে নয়, বরং সমান্তরাল ভাবে বসানো হয়েছে ত্রিফলা আলো। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া, ১ এপ্রিল থেকে বাতি জ্বালানোর কথা থাকলেও এখনও সেই আলো পাকাপাকি ভাবে জ্বলেনি। মে মাসের মাঝামাঝি আলো লাগানোর কাজ শেষ হয়েছিল। তারপর থেকে হাতে গোনা দু’দিন মাত্র আলো জ্বালানো হয়েছে। আলো লাগাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। ২০-২৫ ফুট ছাড়া ছাড়া ৬০টি বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছে। |
|
ছবি: হিলটন ঘোষ। |
এলাকার প্রবীন নাগরিক জীবনকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সৌন্দর্যায়নের নামে নাগরিকদের টাকা নিয়ে নয়ছয় করা হল। টাকার অভাবে যে পুরসভা রাস্তাঘাট ঠিক করতে পারে না, নিকাশির সমস্যায় ভোগে, সেখানে কেন তারা হঠাৎ বাতিস্তম্ভ লাগাতে গেল?” পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর সাবিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই এই বাতিস্তম্ভ লাগানোর বিরুদ্ধে। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প থাকা সত্ত্বেও এই বাতি লাগানোর কোনও প্রয়োজন ছিল না। তার বদলে ওই ১৫ লক্ষ টাকা অন্য উন্নয়নের কাজে লাগানোই যেত।” যদি বা বাতি লাগানো হল, কেন তা জ্বালানো হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম কাউন্সিলর। যদিও রাস্তার সমান্তরাল আলো বসানো নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিপিএম নেতার বক্তব্য, তাঁরা এ ধরনের আলো লাগানোরই বিরোধী। কী ভাবে আলো লাগানো হচ্ছে, সেটা বড় কথা নয়।
পুরপ্রধান দেবদাস ঘোষ বলেন, “বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার জন্য আলাদা মিটার প্রয়োজন। বাতিস্তম্ভ বসানোর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থারই সেই ব্যবস্থা করার কথা। তারা তা না করায় আমাদেরই মিটারের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। এ জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে ২০০০০ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই সংযোগ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।”
কিন্তু বাতিস্তম্ভ রাস্তার সমান্তরাল ভাবে লাগানোর কারণ কী?
পুরপ্রধানের জবাব, “রাস্তার ধারে জায়গা না পাওয়ার ফলেই এই ব্যবস্থা।” কিন্তু আলো যদি বা লাগানো হল, আড়াআড়ি ভাবে না লাগানোয় ‘সৌন্দর্যায়নের’ উদ্দেশ্য কতটা বাস্তবায়িত হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই গেল বলে মনে করছেন উলুবেড়িয়ার নাগরিকদের বড় অংশই। |
|
|
|
|
|