ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী ভোট সাংমা নয়, প্রণবের পক্ষেই যাচ্ছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পি এ সাংমার ঝাড়খণ্ড সফরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে ঝাড়খণ্ডে এলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আদায় করে নিলেন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের দুই প্রধান শরিক, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও আজসু-র সমর্থন।
আজ বিকেল চারটে নাগাদ রাঁচি পৌঁছন প্রণববাবু। রাঁচিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলে প্রণববাবু সোজা হাজির হন মোরাবাদি এলাকায়, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেনের বাসভবনে। প্রণববাবুকে স্বাগত জানাতে সেখানে সাগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সোরেন-সহ জেএমএম নেতা এবং কর্মীরা। প্রণববাবুর সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যের জোট সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক দলের নেতা শিবু সোরেন বলেন, “গোটা দেশ রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দেখতে চাইছে। জেএমএম-ও চাইছে প্রণববাবুই রাষ্ট্রপতি হোন। আমাদের দলের ভোট প্রণববাবুই পাবেন।” উল্লেখ্য, কালই সাংমা এসেছিলেন সোরেনের কাছে। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে শিবু সোরেন বলেন, “ভোট চাইছেন ভাল কথা। এখনই আমি কিছু বলতে পারছি না। সব দিক বিচার করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” |
এ দিন প্রণববাবুকে একই ভাবে সমর্থনের কথা শুনিয়েছেন রাজ্যের জোট সরকারের আরও এক শরিক, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন (আজসু)-এর প্রধান তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোও। রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী দল, বাবুলাল মরান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) তো আগে প্রণববাবুকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল। আজ জেভিএমের দফতরে গিয়েও সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন প্রণববাবু। প্রণববাবুর সমর্থনে ভোট চাইতে ঝাড়খণ্ডে আসেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ ও লোকজনশক্তির নেতা রামবিলাস পাসোয়ান।
ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার দু’টি আসনে নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের শাসক জোট সরকারের মধ্যে বিভাজন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। এক দিকে বিজেপি, অন্য দিকে জেএমএম-আজসু। এই দুই শরিক জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন এখনই প্রত্যাহার না করলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই জোট সরকারে তাঁদের ১৮ জন বিধায়ক নিয়ে সংখ্যালঘু বিজেপি। জেএমএম (১৮) ও আজসু (৫) জোটের মধ্যে সংখ্যাগুরু জোট তৈরি করেছে। রাজ্যসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জেএমএম হারানোর পর হাটিয়া উপনির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে যায় জেএমএম-আজসু। এ বার রাষ্ট্রপতি ভোটেও বিজেপি সমর্থিত ‘আদিবাসী’ প্রার্থীকে খারিজ করে দিয়ে জেএমএম-আজসুর বিজেপি-বিরোধিতা অব্যাহত রইল। |