|
|
|
|
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন |
হামিদকে মেনে নিন, চেষ্টা চলবে মমতাকে বোঝানোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনড় থাকলেও আগামী শনিবার পর্যন্ত তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবে কংগ্রেস।
উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঠিক করতে ১৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ইউপিএ-র বৈঠক। সেখানে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিকে ফের মনোনয়ন দেওয়া একপ্রকার পাকা। এনসিপি, ডিএমকে-র মতো শরিকদের আনসারিকে নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কংগ্রেসের বাড়তি লাভ এনডিএ শরিক জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সমর্থন। ফলে ১৪ তারিখের বৈঠক থেকেই আনসারির নাম ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে বলে কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে সম্ভবত সোমবার বা মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন হামিদ আনসারি।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, ইউপিএ-র অন্যান্য শরিক দল এক মত হলে শুধু তৃণমূলের কথায় প্রার্থী বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। সেটা গণতন্ত্রসম্মতও নয়। তৃণমূলকে সেই যুক্তি দেখিয়ে আনসারিকে মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। তৃণমূলকে রাজি করানোর কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই আজ তাদের আপত্তি মেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ফরওয়ার্ড ট্রেডিং’ বিল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে অনেকের মত। তবে মমতা যদি শেষ পর্যন্ত না মানেন, তা হলে তাঁর আপত্তি উপেক্ষা করেই আনসারি প্রার্থী করা হবে।
শনিবার ইউপিএ-র বৈঠকের দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে বিজেপি-ও। তারা চায়, মমতা গোপাল গাঁধীকে রাজি করিয়ে তাঁকে প্রার্থী করুন। তখন বিজেপি তাঁকে সমর্থন করবে। দলের নেতা সুষমা স্বরাজ ইতিমধ্যেই জয়ললিতা ও নবীন পট্টনায়কের মতো অ-কংগ্রেসি নেতাদের সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলেছেন। বিজেপি চাইছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো উপরাষ্ট্রপতি ভোটেও জোট বেঁধে লড়ে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস-বিরোধিতাকে আরও শক্তিশালী করতে। মমতাকেও সেই বৃহত্তর জোটে সামিল করতে চায় তারা।
বিজেপি-র এই কৌশল বুঝেই মমতাকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাইছে কংগ্রেস। দলের এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, “হামিদ আনসারিকে প্রার্থী করার ব্যাপারে তৃণমূল আপত্তি করছে বলেই কংগ্রেস তাদের অমর্যাদা করবে এমন নয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তৃণমূল এখনও প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করার কথা বলেনি। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রণববাবু প্রত্যেকেই প্রতিদিন সমর্থনের আর্জি জানাচ্ছেন। ইউপিএ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে গত কাল মমতাকে ফোন পর্যন্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অতএব কংগ্রেস চায়, মতান্তর যা-ই থাকুক, তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাক।”
সেই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন ১৮ জুলাই সনিয়া গাঁধীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তৃণমূলের সব সাংসদকে। তত ক্ষণে মমতা প্রণববাবুকে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেও। |
|
|
|
|
|