জেল হাজতে চিন্টুর জ্যাঠা, খোঁজ নেই অন্য অভিযুক্তের
সাত দিন খনিগর্ভে কাটানো চিন্টুকে উদ্ধারের পরে সপ্তাহখানেক পেরিয়ে গেলেও তাকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত এক জনকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, বাঁকুড়া ও বর্ধমানের নানা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। এই ঘটনায় ধৃত ওই কিশোরের জ্যাঠা তারকনাথ গোপকে ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে কাটানোর পরে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আসানসোল নিম্ন আদালত।
গত ২৮ জুন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল রানিগঞ্জের ঝাঁটিডাঙা এলাকার শৈলেন গোপের ১৭ বছরের ছেলে চিন্টু। ৫ জুন ভোরে তাকে আমকোলা কোলিয়ারি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভূগর্ভস্থ খনি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগেই চিন্টুর পরিবারের সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁদেরই এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় মনু গোপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় মনু জানায়, তারকনাথবাবুই ভাইপো চিন্টুকে খনিতে ঠেলে ফেলে দিতে বলে তাকে। এর বদলে তাকে টাকাও দেন বলে দাবি করে মনু। এর পরেই পুলিশ তারকনাথবাবুকে গ্রেফতার করেছিল।
উদ্ধার হওয়ার পরে চিন্টু অবশ্য জ্যাঠার বিরুদ্ধে তাকে খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ মানতে চায়নি। আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সে বলেছিল, “জ্যাঠা বিয়ে করেননি। আমরা তিন ভাইবোন তাঁর আদরের। জ্যাঠাকে জব্দ করতে মনুদাই নানা গল্প ফাঁদছে।” খনিতে ঠেলে ফেলে দেওয়ার সময়ে মনুর সঙ্গে আরও এক জন ছিল বলে জানিয়েছিল চিন্টু। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মনু আসলে চিন্টুর দিদিকে বিয়ে করতে চাইছিল। এ দিকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তারকবাবুরা তার আব্দার না মেনে কিছু দিন আগেই মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেন। এতেই মনু খেপে গিয়ে থাকতে বলে তাঁদের অনুমান।
সাত দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে গত ৮ জুন মনুকে আদালতে তোলে পুলিশ। তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানায় রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.