অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের স্বেচ্ছাসেবকদের দমকল কেন্দ্রের সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে কংগ্রেসের পর সোচ্চার হল তৃণমূল কংগ্রেসও। গত সোমবার জেলা কংগ্রেস নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবি জানান। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসও কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার দাবি তুলেছে। পাশাপাশি, কংগ্রেসের আন্দোলনের পদ্ধতি ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, “সঠিক পদ্ধতি মেনে কর্মী নিয়োগ করতে হবে। আমরাও তাই বলছি। কিন্তু কংগ্রেস সিভিল ডিফেন্স অফিসারের ঘরে ঢুকে আন্দোলনের নামে হুমকি, টেবিল চাপড়ে ঠিক করেনি। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।” এ বিষয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জনবাবু বলেন, “সাধারণ মানুষের হয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছি। তা নিয়ে কে কী বলল, তাতে কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না।” প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের ৩০ জনকে চুক্তিভিত্তিক দমকল কেন্দ্রের সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। গত ২ মে ২০৬ জন আবেদনকারীর বালুরঘাটে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। এরপর প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে নামে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, “প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডে লিখিত পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা ছিল। তারপরে কী করে তা বাতিল করে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হল। এখান থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা পরিস্কার।” জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “ওই পদে সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মাঠে পরীক্ষাই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার কোনও নিয়ম নেই। বিষয়টি না জেনেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আমার নজরেও ছিল না। বিষয়টি সিভিল ডিফেন্স অধিকর্তাকে জানানো হয়েছে।” জেলা সিভিল ডিফেন্স অফিসার স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নিয়োগে অনিয়ম হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় ভুল হয়ে গিয়েছিল। স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কর্মী নিয়োগ হচ্ছে।” |