এনজেপি-কলকাতা শতাব্দী এক্সপ্রেস আজ, বুধবার চালু হচ্ছে। এদিন দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগডোগরায় এক অনুষ্ঠানে এনজেপি থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস চালু করার প্রস্তাব দেন। বুধবার নিউ জলপাইগুড়িতে ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ করবেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। একই সঙ্গে ওই দিন নিউ কোচবিহার-নিউ জলপাইগুড়ি ইন্টারসিটি এবং শিলিগুড়ি জংশন-বামনহাট ডেমু চালু করা হবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল বলেন, “কোচবিহার থেকে মুখ্যমন্ত্রীই রিমোটে ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।” শতাব্দী যাত্রাপথে কিসানগঞ্জ, মালদহ ও বোলপুর স্টেশনে দাঁড়াবে। রবিবার বাদে প্রতিদিন ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছবে। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছবে। ট্রেনে চেয়ার কার এবং এগজিকিউটিভ চেয়ার কার সুবিধাযুক্ত কামরা থাকবে। চেয়ার কারে ভাড়া দিতে হবে ৭৬০ টাকা। এসি টু টায়ারের ভাড়া ১৬৬০ টাকা। ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্থ বেঙ্গলের (ফোসিন) সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “১৯৯২ থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস চালুর দাবি জানানো হচ্ছে। ট্রেনটি চালু হলে উত্তরবঙ্গে পর্যটন শিল্পও উপকৃত হবে।”
চালু আরও দু’টি ট্রেন। এনজেপি-নিউ কোচবিহার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এনজেপি থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টায় ছেড়ে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নিউ কোচবিহারে পৌঁছবে। আবার বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে নিউ কোচবিহার থেকে ছেড়ে রাত ৮টা ২০ মিনিটে এনজেপিতে পৌঁছবে। শিলিগুড়ি জংশন-বামনহাট ‘ডেমু’ ভোর ৫ টায় বামনহাট থেকে ছেড়ে বেলা ১১টায় শিলিগুড়ি জংশনে যাবে। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শিলিগুড়ি ছেড়ে ৯টা ৪৫-এ বামনহাটে যাবে। শিলিগুড়ি জংশন-বামনহাট ‘ডেমু’ চালু হওয়ায় প্যাসেঞ্জারটি বাতিল হচ্ছে। |