কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির শিলান্যাস ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের মন ইতিমধ্যেই জয় করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করতে আজ, বুধবার কোচবিহারে মনীষী পঞ্চানন বর্মার নামে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করবেন তিনি। দল মত নির্বিশেষে সকলেই নতুন সরকারের ওই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন বনমন্ত্রী অনন্ত রায় বলেন, “সরকারের তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।” বাম আমলেই কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ভাবনা শুরু হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ জানান, বাম আমলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ তৈরি হলেও এই জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ায় তাঁরাও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তবে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এলাকার বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো সরকারের পক্ষে লজ্জাজনক বলে অভিযোগ তাঁর। কংগ্রেস, বিজেপি, গ্রেটার কোচবিহার পিপল্স পার্টির মতো দলের জেলা নেতারাও ওই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “উদ্যোগ ভাল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হলে আরও ভাল লাগবে।” বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিল দে আরও এক ধাপ এগিয়ে জানান, স্বাধীনতার পর কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা কোনও মুখ্যমন্ত্রী ভাবেননি। তিনি বলেন, “দল ও জেলাবাসীর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” পঞ্চানন বর্মার নামে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজে উদ্যোগী হওয়ায় তা জেলার বাসিন্দাদের কাছে বড় পাওয়া বলে মনে করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সভাপতি বংশীবদন বর্মন। তাঁদের মতে খলিসামারিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় হলে আরও ভাল হত। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দিনটি কোচবিহারবাসীর কাছে ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। দলমত নির্বিশেষে জেলাবাসী অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে আসবেন বলে আমি আশাবাদী।” |