অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতেই চিকিৎসকের অপমৃত্যু মামলায় আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেল। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৮ জুলাই।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক-চিকিৎসক বিক্রম সাহার অপমৃত্যুর ঘটনায় সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ও ৬ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হুমকি-প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী শালিনীদেবী। অভিযুক্ত ৬ চিকিৎসক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে বিক্রমবাবুর সহকর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনুপ রায় এখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। বাকি ৫ জন মেদিনীপুর শহরে থাকেন। তাঁদের মধ্যে অশোক মাইতি, আশিস হাজরা, মৃণাল বর্মন, অরুণ আচার মেদিনীপুর মেডিক্যালেই এখনও কর্মরত। দেবাশিস মজুমদার নামে অন্য এক চিকিৎসক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে কাজ করতেন। কিছু দিন আগে ইস্তফা দেন।
প্রথমে পুলিশই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি। তার আগে সবদিক খতিয়ে দেখতে মেদিনীপুরে আসেন ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) কে জয়রামন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। মৃত চিকিৎসকের পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। অভিযুক্তের তালিকায় নাম ঢোকার পরই মেদিনীপুরের ৫ চিকিৎসক ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর অবশ্য বাড়িতে ফিরে আসেন। গত ২০ জুন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। সেই আবেদনেরই শুনানির দিন ছিল মঙ্গলবার। তবে এ দিন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম দাসের কাছে শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী। আগামী ১৮ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক। এ দিন সকালে আদালতে এসেছিলেন ঘটনার তদন্তকারী অফিসার (আইও) ডিডিআই (খড়্গপুর) বিকাশরঞ্জন মিত্র। তিনি মামলাটি নিয়ে মেদিনীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাজকুমার দাসের সঙ্গে কথাও বলেন। সিআইডি জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। এ ক্ষেত্রে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |