টুকরো খবর
ক্যানসার সারাতে সুইডেন থেকে শহরে
নিজের দেশে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে আরও তিন মাস অপেক্ষা করতে হত সুইডেনের উলা গ্রেনস্ট্রোমারকে। তত দিনে তাঁর কোলনের ক্যানসার হয়তো ছড়িয়ে পড়ত আরও অনেকটাই। ইন্টারনেট ঘেঁটে, পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এক আত্মীয়ের যোগসূত্র ধরে আসেন কলকাতায়। অস্ত্রোপচার করে তাঁকে নতুন জীবন দিলেন এই শহরের চিকিৎসকেরা। ই এম বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারটি হয়েছে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই হাসপাতালের ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “গুরুতর হৃদ্রোগী, ৭২ বছরের উলাকে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়াই একটি বড় ঝুঁকি ছিল। ওঁকে সুস্থ করে দেশে ফেরাতে পেরে প্রমাণ করা গেল, এই শহরের চিকিৎসকেরাও কোনও অংশে কম নন।” ক্যানসার চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পরে সুইডেনের চিকিৎসকদের সঙ্গে ই-মেলে যোগাযোগ রেখে সেখানেই ওঁর কেমোথেরাপির ব্যবস্থা হবে। তিনি বলেন, “প্রথম বিশ্বের একটি দেশ, যেখানে রাষ্ট্রই চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেয়, সেখানেও চিকিৎসার জন্য এমন দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ওই রোগিণীর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে কলকাতাকে বেছেছেন, সেটিই এই শহরের চিকিৎসকদের যোগ্যতা প্রমাণ করে।” বাইপাসের ওই হাসপাতালের সিইও স্বরাজব্রত পুরকায়স্থ বলেন, “হেলথ্-ট্যুরিজমের ভাবনাকে আরও প্রসারিত করার বিষয়ে এ রাজ্যের সরকার যথেষ্ট আগ্রহী। শহরের হাসপাতালগুলিও সে জন্য নিজেদের তৈরি রেখেছে।”

চিকিৎসার দায়িত্বে ওয়ার্ড বয়, বিতর্ক
ডাক্তারের বদলে উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। বুলন্দশহর হাসপাতালের এ রকমই এক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি শিশুর ক্ষত সেলাই করছেন এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। অন্য এক রোগীকে ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন আর এক ওয়ার্ড বয়। এই ভিডিও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে দেখানোর পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই কর্মীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর তাঁরা সেলাই নয়, শুধু ক্ষত পরিষ্কার করছিলেন। এমনকী, তাঁদের ওটিতেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। হাসপাতাল সুপার শিশির কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি নিজে সেখানে ছিলেন। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছেন মেরঠের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা ভি কে শর্মা।

রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন, অভিযোগ
এক রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুলটির বরাকরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটির পরে রোগীর পরিবারের লোকেরা বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের দাবি, স্যালাইন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রোগী শালিনী সিংহ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। দেখা যায় স্যালাইনের বোতলটি ছ’মাসের পুরোনো। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।ঝাড়খন্ডের কুমারডুবি অঞ্চলের মাইথন রোডের বাসিন্দা শালিনীর বাবা শশীভূষণ সিংহের অভিযোগ, তাঁর সাত বছরের মেয়ে শালিনীকে মঙ্গলবার সকালে একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়। স্যালাইন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে সে কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এর পরেই তাঁরা দেখেন স্যালাইনের বোতলটির মেয়াদ ৬ মাস আগে ফুরিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। তখনই সেটি খুলেও নেওয়া হয়। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু হয় নার্সিংহোমে। কিন্তু মেয়াদ পেরোনোর ছ’মাস পরেও ওই স্যালাইনের বোতল নার্সিংহোমে মজুত ছিল কীভাবে? কর্তৃপক্ষের জবাব, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদ্যোজাতের মৃত্যু, অভিযোগ গাফিলতির
এক সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে বরাকরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অভিযোগ, শিশুটি কাঁদতে থাকায় বাড়ির লোকেরা কর্তব্যরত নাসর্কে ডেকে দেখতে বলেন। কিন্তু নার্স আসেননি। এর কিছুক্ষণ পরেই শিশুটি মারা যায়। এরপরেই ওই নার্সের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিশুটির পরিবারের লোকেরা। বরাকরের ওই সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ অনির্বাণ রায় বলেন, “পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টির বিভাগীয় তদন্ত হবে এবং কেউ দোষী প্রমানিত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।” আপার কুলটি এলাকার বাসিন্দা পবন সিংহ জানান, সোমবার রাতে তাঁর স্ত্রী রেশমা সিংহকে অন্তস্বত্তা অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পবনবাবুর অভিযোগ, “জন্মানোর ঘন্টা খানেক পরেই বাচ্চাটি কাঁদতে শুরু করে। আমি কর্তব্যরত নার্সকে বাচ্চার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখার অনুরোধ জানাই। কিন্তু ওই নার্স বাচ্চাটিকে দেখতে আসেননি। এর কিছুক্ষণ পরেই আমার ছেলে মারা যায়।”

আশা-র বিক্ষোভ
নিয়মিত দাবিতে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিক্ষোভ দেখাল আশা কর্মী, দাই-এর মত স্বাস্থ্য কর্মীরা। মঙ্গলবার গোয়ালপোখর ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। বিক্ষোভে কংগ্রেস ও সিপিএম এর নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, নিয়মত বেতন মিলছে না। এই পরিস্থিতি কাজ চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হচ্ছে। ওই বেতনের টাকা নিয়ে কারচুপির অভিযোগও করেন বিক্ষোভকারীরা। গোয়ালপোখরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক প্রসাদ এই প্রসঙ্গে বলেন, “নিয়ম মেনেই টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.