স্নাতক বর্ষে অতিরিক্ত পড়ুয়াদের ভর্তি নিয়ে ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপির বচসায় উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি কলেজে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনার। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজে পাশ ও অনার্স মিলিয়ে আসন সংখ্যা ১৬৫০। এ দিনই ছিল ভর্তির শেষ দিন। কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পরে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি বন্ধ করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানোর ব্যাপারে পরে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হবে। টিএমসিপির তরফে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়ে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীকে এ দিনই ভর্তি নিতে হবে বলে দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। তারা ভর্তির দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ছাত্র পরিষদ বাধা দিলে দু’পক্ষে বচসা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বৈঠকে সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শিলিগুড়ি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্যনারায়ণ মণ্ডল বলেন, “কলাবিভাগে ১০০টি আসন বাড়ানো হয়েছে। সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হবে।” টিএমসিপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, “সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু এ দিন আচমকা অনেককে ভর্তি না নিয়ে কাউন্সেলিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা সকলকে ভর্তির দাবি করেছি। ছাত্র পরিষদ তার বিরোধিতা করলে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে।” ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি অমিত তালুকদারের অভিযোগ, শিলিগুড়ি মহকুমায় ৬০০ জনের উপরে ছাত্রছাত্রী এখনও ভর্তি হতে পারেননি। তিনি বলেন “মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তিনি এ সপ্তাহেই মহকুমার প্রত্যেকটি কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সকলের ভর্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। যে সব ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারেননি তাঁদের মহকুমাশাসকের আবেদন করতে বলা হয়েছে। সেখানে টিএমসিপি নিজেদের মতো করে একটি তালিকা তৈরি করে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার বিরোধিতা করা হয়েছে।” |