গণ্ডগোলে জড়িত কোনও ছাত্রকে ‘চিহ্নিত’ করতে না পারায় বসিরহাট ও বেড়াচাঁপার শহীদুল্লাহ কলেজে আপাতত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দোষী ছাত্রদের ‘চিহ্নিত’ না করতে পারার ‘দায়’ পুলিশের উপরেই চাপিয়েছেন তাঁরা। পুলিশের ‘ভূমিকা’র সমালোচনাও করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৌশিক গুপ্ত বলেন, “যে সব ছাত্র নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল, তাদের রোল-নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর শহীদুল্লাহ কলেজের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।” শুক্রবার ওই দুই কলেজেই দু’দল ছাত্রের মধ্যে মারপিট বাধে। বসিরহাট কলেজের প্রথম বর্ষের (পাস কোর্স) পরীক্ষার আসন পড়েছিল শহীদুল্লাহ কলেজে। অভিযোগ, নকলে বাধা দেওয়ায় ওই দিন বসিরহাটের ছাত্রেরা মারধর করে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের। প্রহৃত হন বসিরহাট কলেজের ছাত্রেরাও। গণ্ডগোলের খবর বসিরহাট কলেজে পৌঁছয়। সেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন শহীদুল্লাহ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদেরও কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জখম হন অনেকে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক দল তদন্তে যান দুই কলেজে। ২ কলেজের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সিল বৈঠকে রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়।
দুই কলেজে পুলিশ থাকলেও গোলমাল এড়ানো যায়নি। বসিরহাট কলেজের যে সব ছাত্রের পরীক্ষার আসন পড়েছিল তাঁদের কলেজে, সকলের নাম-রোল নম্বরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা শহীদুল্লাহ কলেজ কর্তৃপক্ষ জমা দেন পুলিশের কাছে। কেউ ধরা পারেনি। উপাচার্য বলেন, “রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পুলিশের ভূমিকা ঠিক ছিল না। যারা গণ্ডগোল করেছে তাদের খোঁজও নেই।” নকল করার প্রবণতা রুখতে সব কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান উপাচার্য। এখন থেকে দু’টি কলেজের মধ্যে পরীক্ষার আসনে আদান-প্রদান করা হবে না। কাউন্সিল বৈঠকের পরে উপাচার্য বলেন, “দু’টি কলেজের রিপোর্টের পাশাপাশি, পরিদর্শক দলও দুই কলেজে গিয়ে তদন্ত করেন। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার নয়। বসিরহাট কলেজের কিছু ছাত্রের নকল করা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। নকলের প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত। যাঁরা নকল ধরেছেন তাঁদের কৃত্বিত্ব দিচ্ছি।” |