একটি খুনের মামলার সাক্ষী শাহজামাল শেখকে (৩৮) মঙ্গলবার সকালে ডোমকলের পাইকমারি গ্রামে বোমা ছুড়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শাহজামাল নিজেও একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। কংগ্রেস শাহজামালকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে। তাদের দাবি, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে শাহজামালকে। শাহজামাল খুনের প্রতিবাদে কংগ্রেস বুধবার ১২ ঘণ্টা ডোমকল বন্ধেরও ডাক দিয়েছে। তবে সিপিএমের দাবি, গোটা ঘটনাই একটি গ্রাম্য বিবাদের জের। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশের বক্তব্য, পুরনো খুনের ‘বদলা’ হিসেবেই শাহজামালকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত সরিফুল শেখ ওরফে ঝাটুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বোমাবাজিতে জখম দু’জনকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সবে বরাতের দিন খুন হন শাহজামালের মামা আজিজ শেখ। সেই খুনের ঘটনায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন শাহজামাল। আবার আজিজ শেখকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হামিদুল শেখ খুন হন বছর চারেক আগে। হামিদুলকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন শাহজামাল। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মাস খানেক ধরে ঝড়ে ভেঙে পড়া একটি তেঁতুল গাছ নিয়েও গণ্ডগোল চলছিল। এই দিন সকালে চায়ের দোকানেও সেই গণ্ডগোল হয়েছে। হঠাৎই ঝাটু দলবল নিয়ে এসে বোমা ছুড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাহজামালের।
ব্লক কংগ্রেস নেত্রী শাওনি সিংহ রায় বলেন, “শাহজামাল আমাদের কর্মী। সিপিএমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মহড়া শুরু করল এই খুনের মধ্যে দিয়ে। ডোমকলের অন্যত্রও আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হতে পারে।” যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণ দাস বলেন, “ওই খুন হয়েছে গ্রাম্য বিবাদের জেরে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “পুরনো খুনের ঘটনার জেরেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ঝাটু শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |