|
|
|
|
‘অতিরিক্ত’ কাজে নারাজ সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা খাদ্য নিয়ামক দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে ‘অতিরিক্ত’ কাজ করানোর অভিযোগে ‘কলম-ধর্মঘট’ করলেন কর্মীরা। মঙ্গলবার তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাদ্য নিয়ামকের অফিসে এই ঘটনার পর প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন ওঠে। এ দিন ওই অফিসের কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে এলেও কোনও কাজ করেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই আন্দোলনে জেলা খাদ্য নিয়ামক অফিসে অচলাবস্থা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জেলা খাদ্য নিয়ামক। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কর্মচারীদের অভিযোগ, জেলা খাদ্য নিয়ামকের অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা কম। অথচ জেলা খাদ্য নিয়ামক অতিরিক্ত কাজ করার জন্য বাধ্য করছেন। কর্মচারীদের সংগঠনের তরফে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতির কাছে অভিযোগ জানানো হয়। জেলা খাদ্য নিয়ামক নবরাজ বড়ুয়া দফতরের কর্মীদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করলেও এই ধর্মঘটের ঘটনা মানতে চাননি। তিনি কর্মীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “দফতরে আগের চেয়ে কাজের পরিমাণ বেড়েছে। এ জন্য কর্মীদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। কিন্তু জোর করে কাজ করানোর অভিযোগ সত্য নয়।” তিনি আরও বলেন, “কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটে গিয়েছে।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “জেলা খাদ্য দফতরের কর্মীদের অভিযোগ পেয়েছি। মঙ্গলবার কর্মচারীরা কলম-ধর্মঘট করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ নিয়ে সমস্যা দ্রুত মেটানোর জন্য জেলা খাদ্য নিয়ামককে বলা হয়েছে।” তবে জেলা খাদ্য দফতরের একাংশের মতে, খাদ্য দফতরের ঢিলেঢালা অবস্থার পরিবর্তন করে দ্রুত গতিতে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়ায় কর্মচারীরা খাদ্য নিয়ামকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। |
|
|
|
|
|