হাজার থেকে এক শিকার দূরে থামতে হল বাউচারকে |
একই দিনে দুই উইকেটকিপারের অবসর ঘোষণা। দুটোই ক্রিকেট ইতিহাসে ব্যতিক্রমী। এক দিকে চোখে গুরুতর চোট পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হলেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার মার্ক বাউচার। অন্য দিকে মাত্র ২৯ বছর বয়সে ক্রিকেট ব্যাট সরিয়ে ঈশ্বরের কাজে নিজেকে সমর্পণ করলেন তাতেন্ডা তাইবু।
ইংল্যান্ড সফরে সমারসেটের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোখে চোট পান দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটকিপার। সোমবার রাতে তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পরে তিনি জানান, কবে পুরোপুরি সুস্থ হবেন সেটা নিশ্চিত নয়। কিছুটা সুস্থ হলেই তিনি দেশে ফিরে যাবেন। “খুব দুঃখ এবং কিছুটা যন্ত্রণার সঙ্গে এই ঘোষণা করছি। আমার চোখের চোট এতটাই গুরুতর যে আমার পক্ষে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব হবে না,” একটি বিবৃতিতে জানান বাউচার। তাঁর হয়ে বিবৃতিটি পড়ে শোনান গ্রেম স্মিথ। প্রোটিয়া দলের মুখপাত্র হিসেবে স্মিথ এরপর বলেন, “আমরা একসঙ্গে অনেকটা রাস্তা হেঁটেছি। এ রকম পরিস্থিতিতে তোমাকে বিদায় জানাতে হচ্ছে বলে আমরা দুঃখিত। ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনে তুমি প্রকৃত যোদ্ধা হিসেবে, প্রকৃত দেশপ্রেমী হিসেবে খেলেছ।”
|
এই ইংল্যান্ড সফরটাই দেশের হয়ে বাউচারের শেষ সফর হত। লর্ডসে নিজের ক্রিকেটজীবনের দেড়শোতম টেস্ট খেলতেন তিনি। তার আগেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অবসর নিতে হল বাউচারকে। তিন ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ৯৯৯টা শিকারের রেকর্ড নিয়ে অবসর নিচ্ছেন তিনি। ১৪৭ টেস্ট খেলে শিকারের সংখ্যা ৫৫৫ (৫৩২ ক্যাচ, ২৩টা স্টাম্পিং)। বিশ্বের কোনও উইকেটকিপারের এই কৃতিত্ব নেই।
জিম্বাবোয়ের কিপার-ব্যাটসম্যান তাইবু আবার স্বেচ্ছায় অবসর নিলেন ক্রিকেট থেকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে তাঁর নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাইবুর সিদ্ধান্তের কথা শুনে ক্রিকেটমহল অবাক। এগারো বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের উপর পর্দা টেনে তাইবু জানিয়েছেন, ঈশ্বরের কাজ নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চান তিনি। “আমার মনে হয় ঈশ্বরের সেবা করাই আমার জীবনের আসল লক্ষ্য। নিজের দেশের হয়ে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। কিন্তু এখন শুধুমাত্র ঈশ্বরকে সময় দিতে চাই,” বলেছেন তাইবু। জিম্বাবোয়ের হয়ে ২৮টা টেস্ট এবং ১৫০ ওয়ান ডে খেলেছেন তিনি। |