এখনও ক্রিকেট-পাগল, তবে সংসদে মুখ খুলতে চান সচিন |
সচিন তেন্ডুলকর মনে করেন, দু’দশক ধরে তাঁর শীর্ষে থাকার পিছনে একটাই কারণ। পাগলের মতো ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা। একই সঙ্গে একশো সেঞ্চুরির মালিক এ-ও জানিয়ে দিচ্ছেন যে, রাজ্যসভার সদস্য হলেও তাঁর প্রথম পছন্দ থাকবে ক্রিকেটই।
“দেশের রাষ্ট্রপতি আমাকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই এটা আমার কাছে দারুণ সম্মানের ব্যাপার। আমি মনোনীত হয়েছি ক্রিকেটের প্রতি আমার অবদানের জন্য। আমি এক জন ক্রিকেটার আর আমার কাছে মুখ্য ব্যাপার ক্রিকেটই থাকবে,” একটি চ্যানেলকে বলেছেন সচিন। রাজ্যসভায় তাঁর মতামতও দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন সচিন। পাশাপাশি বলে দেন, “রাতারাতি আমার পক্ষে কোনও পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। সেটা করতে গেলে ঠিকও হবে না কারণ পরিবর্তন অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।”
|
ছুটির মেজাজে: উইম্বলডনের রয়্যাল বক্সে। |
সচিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নরা কী ভাবে চাপ বা চোট থেকে নিজেদের রক্ষা করে? কয়েক দিন আগে উইম্বলডনে রজার ফেডেরারের খেলা দেখে আসা সচিন জবাব দেন, “আমি ক্রিকেটারের দৃষ্টিকোণ থেকে একটাই কথা বলতে পারি। ক্রিকেটকে পাগলের মতো ভালবাসতে হবে। ক্রিকেট মাঠে জমি তৈরি করার খেলাটার জন্য হৃদয়ে জায়গা করতে হবে। তার পর সেখান থেকে ভালবাসা বাড়াতে হবে।” সাফল্যের রসায়নও ক্রিকেটের প্রতি গভীর অনুরাগের ওপর নির্ভর করছে বলে সচিন মন্তব্য করেন।
শ্রীলঙ্কা সফরে না যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সচিন। আর সেই কারণটা হচ্ছে, স্কুল ছুটি থাকায় সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানো। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। “আমি বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলাম এই সফরে আমার নাম বিবেচনা না করতে কারণ আমি পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চাই। এই সময় স্কুল ছুটি থাকে। আমি যদি শ্রীলঙ্কা যেতে চাইতাম তা হলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করতাম। কিন্তু আমার বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম যেহেতু এর পর সামনের দশ মাস আমি আবার টানা খেলব।” এর পর যোগ করছেন, “স্কুল থাকার সময় বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানোটা এক ব্যাপার আর স্কুলের ছুটিতে সময় কাটানোটা অন্য ব্যাপার।”
কন্যা সারা বা পুত্র অর্জুনের ওপর তিনি কোনও কিছু চাপিয়ে দিতে চান না। কেরিয়ার নিয়ে পছন্দ তাদের হাতেই ছাড়তে চান জানিয়ে সচিন বলেন, “অর্জুনের ক্রিকেট নিয়ে খুব আবেগ রয়েছে। সারা আবার মেডিসিনের ডাক্তারি নিয়ে আগ্রহী। প্রত্যেকের নিজের নিজের পছন্দ থাকতে পারে। আমি ওদের কোনও কিছুতে বাধ্য করতে চাই না। ওদের কেরিয়ার ওদেরই বাছতে দিতে চাই। আমি শুধু ওদের পথ দেখাতে চাই, সমর্থন দিতে চাই। আমি চাই ওরা জীবন উপভোগ করুক।” |