বিতর্কের মধ্যে আজ অনুশীলনে |
শুরুতেই নিষেধাজ্ঞা মর্গ্যানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে নাটকের মাঝখানে আজ ইস্টবেঙ্গল মরসুমের প্রথম প্র্যাক্টিসে নামছে। এবং প্রথম দিনই কোচ ট্রেভর মর্গ্যান সাংবাদিকদের প্র্যাক্টিস দেখার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। মর্গ্যান সাংবাদিকদের সে কথা জানিয়ে দিলেও ক্লাবের অনেক বড় কর্তাই তা জানতেন না। জানেন, সাংবাদিকদের কাছে। অথচ ক্লাব থেকে অনুশীলন নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে প্র্যাক্টিস দেখার ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধেরই উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে, মর্গ্যান কথা বলবেন প্র্যাক্টিসের পরে। সাধারণ সব ক্লাবে ‘ক্লোজড ডোর’ প্র্যাক্টিস হয় মরসুম গড়িয়ে যাওয়ার পরে। এ ভাবে প্রথম দিনই ‘ক্লোজড ডোর’ ট্রেনিং ডেকে (তাও বড় কর্তাদের অন্ধকারে রেখে) নজির গড়লেন মর্গ্যান।
এই বিতর্কের পাশে রইল গোলকিপার কোচ বিতর্ক। প্রায় তিন ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকেও সমাধান সুত্র খুঁজে পাওয়া গেল না। উল্টে বল ঠেলে দেওয়া হল প্রেসিডেন্ট ডা. প্রণব দাশগুপ্তের কোর্টে। এই মুহূর্তে প্রণববাবু বিদেশে। ১৪ জুলাই ফিরছেন। ইস্টবেঙ্গলে অতনুর ভাগ্য কী হয়, সেটা বোঝা যাবে তার পরেই।
অতনু প্রসঙ্গে অবশ্য দু’রকম প্রতিক্রিয়া মর্গ্যানের। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে। ক্লাব তাঁবুতে ঢোকার সময় একবার বললেন, “অতনু কোচ আছে, থাকবেও। গত দু’বছর ও খুব ভাল পারফরম্যান্স করেছে। অতনুর না থাকার কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে চুক্তি নেই ঠিকই। তবে হতে কতক্ষণ। বুধবার অনুশীলনেও আসবে।” কিন্তু বৈঠক থেকে বেরিয়েই একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ঘড়িতে তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। ক্লাব তাঁবু ছেড়ে গাড়িতে ওঠার আগে বলে গেলেন, “অতনু বুধবার আসছে না। ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রণব দাশগুপ্ত না ফেরা পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।”
নিজের ক্লোজড প্র্যাক্টিস প্রসঙ্গে মর্গ্যানের মন্তব্য, “আমি যখন এক ঘণ্টা প্র্যাক্টিসের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব, তখন ফোটোগ্রাফাররা ছবি তুলতে পারবে। তার আগে নয়।” লাল-হলুদের প্রথম অনুশীলনে এক মাত্র বিদেশি বলতে শুধু থাকবেন পেন ওরজি। ওপারা ও চিডি কিছু দিন বাদে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। চতূর্থ বিদেশি কে হবেন, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে খুব তাৎপর্যপূণ ভাবে এ দিন ক্লাবে হঠাৎ চিমা ওকোরিকে দেখা যায়। চিমা অবশ্য বললেন, “আমি এমনিই ইস্টবেঙ্গলে গিয়েছিলাম। এ রকম কোনও ব্যাপার নেই।”
ক্লাব তাঁবুতে এ দিন বেশ কিছু ফুটবলারের সঙ্গে দেখা করলেন মর্গ্যান। জেনে নিলেন কে কী অবস্থায় আছেন। রবিন, সৌমিক, রবার্ট, পাইতে, ভাসুম, সঞ্জু, রাজু ও ব্রাঙ্কো তো বটেই, নতুন কিছু মুখও দেখতে পাওয়া গেল। যাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিজিৎ মণ্ডল ও সফর সর্দার। দু’জনেই নিজেদের সেরাটা দেওয়া জন্য মুখিয়ে আছেন। সফর সর্দার বলছিলেন, “সব ফুটবলারই ইস্টবেঙ্গলে খেলার স্বপ্ন দেখে। আমিও দেখেছিলাম। এই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই।” ইসফাক আমেদের চুক্তি নিয়ে প্রথমে সমস্যা থাকলেও, এ দিন ইস্টবেঙ্গলের ইউবি-র প্রতিনিধি অমিত সেন বললেন, “ইসফাকের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গিয়েছে। ও পরের মরসুমে এখানেই খেলবে।” ইস্টবেঙ্গল ঠিক করেছে, পরের সোমবার থেকে ছ’দিনের জন্য একটা আবাসিক শিবির করবে কল্যাণীতে। |