বিতর্কের মধ্যে আজ অনুশীলনে |
শহরে ফিরলেন টোলগে, বিমানবন্দরে উত্তেজনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাত এগারোটাতেও টোলগে বরণের জন্য অজস্র মোহনবাগান সমর্থকের ভিড় কলকাতা বিমানবন্দরে। ওই ভিড়ের মধ্যে মোহনবাগানের কর্মীরা তাঁকে পাহারা দিয়ে রাখলেন। কথা বলতে দেওয়া হল না সাংবাদিকদের সঙ্গে। গাড়িতে উঠে জানলার মধ্যে দিয়ে টোলগে শুধু বলতে পারলেন, “বুধবারই মোহনবাগানের প্র্যাক্টিসে যাচ্ছি।”
আজ সকালে প্র্যাক্টিসে নামছেন মোহনবাগান মাঠে। বিকেলে কি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আলোচনার জন্য যাবেন যুবভারতীতে? বিমানবন্দরে এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি। মোহনবাগান কর্মীরা প্রায় পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তুলে দেন। সঙ্গে আকাশ ফাটানো চিৎকার ছিল, ‘টোলগে, টোলগে’। পরে যোগাযোগ করা হলে বলেন, “সভায় যাব আইএফএ সচিবের সম্মান রাখতে। আমি মোহনবাগানের প্রতিই দায়বদ্ধ।” টোলগের একটু পরেই শহরে ঢুকলেন মোহনবাগান কোচ সন্তোষ কাশ্যপ। যাঁকে ঘিরে সমর্থকদের সেই ভিড় চোখে পড়ল না। দু’-এক জনকে দেখেই তাঁর মন্তব্য, “এত রাতে এঁদের এখানে দেখে মনে হচ্ছে, দু’-তিনটে ট্রফি আমার ক্লাবকে দেওয়া উচিত।” |
সবুজ-মেরুন সমর্থকদের ভিড়ে টোলগে। মঙ্গলবার রাতে দমদম বিমানবন্দরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে টোলগের বিতর্ক মেটাতে দু’পক্ষের সভায় বসার কথা নিরপেক্ষ স্থান যুবভারতীতে। সভা বসবে ড্রেসিংরুমে। টোলগে সোমবার রাতে আইএফএ-কে ই-মেলে জানিয়েছিলেন তাঁর তিনটি শর্ত। এক, সভায় আইএফএ সচিবকে হাজির থাকতে হবে। দুই, টোলগের এক জন বন্ধু থাকবে সেই ঘরে। এবং তিন, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির চেয়ারম্যানকেও থাকতে হবে। তিন নম্বর শর্তটিই শুধু আইএফএ মানবে, পাল্টা ই-মেলে জানান আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। আইএফএ সচিব বলেন, “প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির চেয়ারম্যান থাকবেন পরিদর্শক হিসাবে। কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না। টোলগেও আইএফএ-র এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।” ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সভায় হাজির থাকবেন ক্লাবের সচিব অথবা তাঁর মনোনীত কোনও সদস্য এবং ফুটবল সচিব।
এ দিকে টোলগে সভায় বসার আগের দিনই বিদায়ের সুর বেজে গিয়েছে টোলগের লাল-হলুদ তাঁবুতে। কোচও প্রায় ধরেই নিয়েছেন টোলগে আর থাকছেন না। ট্রেভর মর্গ্যান বলেন, “টোলগের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। ই-মেলে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। পেশাদার ফুটবলার যে কোনও ক্লাবে খেলতে পারে। বিশ্ব ফুটবলে এটা নতুন নয়। ওর জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।” অস্ট্রেলীয় তারকা ইস্টবেঙ্গলে থাকার সময় তৈরি হয়েছিল রলি-টলি জুটি। সেই ‘রলি’ অর্থাৎ রবিন সিংহ বলছেন, “টোলগেকে ড্রেসিংরুমে মিস করব। পেশাদার জগতে এ রকম হয়েই থাকে। তবে টোলগে চলে গেলে আমাদের টিমের খুব ক্ষতি হবে না। আমি মুখিয়ে আছি চিডির সঙ্গে জুটি বাঁধতে।” একই সুর সতীর্থ এবং সহকারী কোচ অ্যালভিটো ডি’কুনহার গলাতেও। |