বিজেপির চিন্তা এ বার বাড়াচ্ছে গৌড়া শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দু’দিন আগেই সদানন্দ গৌড়ার ইস্তফা আদায় করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে জগদীশ সেত্তারের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী। সেই হিসেবে আজ বিধায়ক দলের নেতা হিসেবেও সেত্তারের নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি মসৃণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিনের শেষে সেত্তার নেতা ঘোষিত হলেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে স্বস্তি দিল না কর্নাটক। বরং আগে ইয়েদুরাপ্পা শিবির যে ভাবে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল, আজ গৌড়ার অনুগামীরাও নিজেদের দাবিগুচ্ছ সামনে রেখে দলের সঙ্কট আরও বাড়িয়ে তুললেন।
গৌড়া ও তাঁর সমর্থকরা আজ সকাল থেকে বেঁকে বসায় বিধায়ক দলের বৈঠক দফায় দফায় চার ঘণ্টা পিছোতে হয়। এমনকী পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি থেকে উড়ে যেতে হয় অরুণ জেটলি ও রাজনাথ সিংহের মতো নেতাদের। যদিও পারিবারিক কারণে আজ বৈঠকের মাঝেই দিল্লি ফিরে আসতে হয় জেটলিকে। শেষ পর্যন্ত স্থির হয়, আগামিকাল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে গৌড়া ইস্তফা দেবেন এবং নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন সেত্তার।
কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত পরিস্থিতি ধামাচাপা দিলেও বহু বিষয়ের সমাধান করা বাকি। গৌড়া চাইছেন, তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতি করা হোক। নতুন মন্ত্রিসভাতেও তাঁদের একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব থাকুক। শুধু তা-ই নয়, দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রীও করা হোক, যার মধ্যে এক জন হবেন গৌড়ার সমর্থক। কিন্তু গৌড়াকে রাজ্য সভাপতি করা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে ইয়েদুরাপ্পার। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আপাতত বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর অশোক এবং রাজ্য সভাপতি ঈশ্বরাপ্পার কথা ভাবা হয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আবার রাজ্য সভাপতির পদ খালি হলে সেই পদে কাকে বসানো হবে, তা স্থির হয়নি। বিজেপি নেতাদের একাংশের উদ্বেগ, রাজ্য নেতৃত্বের চাপের কাছে নতিস্বীকার করার ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দুর্বলতাই প্রকট হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের ‘শক্তিশালী’ নেতাদের সব দাবি উপেক্ষা করাও সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে বিধানসভা ভেঙে ভোটে গেলেও যে সঙ্কট মিটবে, এমন নয়। ফলে গত চার বছরে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী বদল করে কর্নাটকে স্থিরতা আনার যে প্রত্যাশা করেছিল বিজেপি, সেটি এখন বিশ বাঁও জলে। |