মেয়াদ বাড়িয়েও ডিজিসিএ প্রধানকে সরিয়ে দিল কেন্দ্র |
ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া এবং কিংফিশার এয়ারলাইন্সে লাগাতার কর্মী বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন বিতর্ক তৈরি হল দেশের বিমান চলাচলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নিয়ে। মঙ্গলবার কিছুটা আকস্মিক ভাবেই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ই কে ভরত ভূষণকে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে গেল তাঁর বদলির কারণ নিয়ে।
আজ কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভরত ভূষণের জায়গায় ডিজিসিএ প্রধান হিসেবে প্রশান্ত নারায়ণ সুকুলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশান্ত বিমান মন্ত্রকেরই যুগ্ম সচিব। ভরতকে আপাতত মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি ডিজিসিএ প্রধান পদে ভরত ভূষণের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করেছিল। তার পর আচমকা এই বদলির কারণ কী, সেই নিয়ে বিমান মন্ত্রকের কর্তারা নিরুত্তর। তবে মন্ত্রক সূত্রের খবর, ডিজিসিএ প্রধান হিসেবে ভরত ভূষণের ‘কড়া শাসন’ মানতে পারেননি অনেক উচ্চপদস্থ কর্তাই। বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে সংঘাতও হয়েছিল ডিজিসিএ প্রধানের। যাত্রী-সুরক্ষা নিয়েও বিমান সংস্থাগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন ভরত ভূষণ। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, এই সব কারণেই ‘কোপে’ পড়তে হল ডিজিসিএ প্রধানকে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ডিজিসিএ প্রধানের দায়িত্বে থাকা ভরত ভূষণ সম্প্রতি কর্মী-সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়া এবং কিংফিশার কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি জানান, বিমান সংস্থার আর্থিক হাল যতই খারাপ হোক, যাত্রী সুরক্ষায় কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত হবে না। তিনি দুই বিমান সংস্থার কাছে জানতে চান, কেন মাসের পর মাস তাদের কর্মীরা বকেয়া অর্থ, বেতন পাচ্ছেন না। যাত্রী-সুরক্ষা ও উপযুক্ত পরিষেবা নিশ্চিত করতে কর্মীদের বকেয়া দ্রুত মেটানোর উপরও জোর দেন। ঘটনাচক্রে, এয়ার ইন্ডিয়ার অচলাবস্থা কাটলেও বেতন না পেয়ে কিংফিশারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণে যুক্ত শ’দুয়েক কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। তার জেরে সংস্থার উড়ান সংখ্যাও এক ধাক্কায় অনেক কমে গিয়েছে। তার মধ্যেই বকেয়া বেতন চেয়ে ধর্মঘটে নামতে শুরু করেছেন পাইলটরা।
এই পরিস্থিতিতে ভরত ভূষণের মতো ‘দক্ষ’ প্রশাসককে ডিজিসিএ থেকে আচমকা সরানো হল কেন, সেই প্রশ্নই উঠছে নানা মহলে। |