বন্যায় ভাঙা বাঁধ সারাতে কেন্দ্রের সাহায্যপ্রার্থী অসম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসমে সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হলেও আপাতত বিভিন্ন জেলায় ভাঙা বাঁধগুলি রাজ্য সরকারের বড় রকমের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী রাজীবলোচন পেগু আজ জানান, বাঁধ মেরামতি ও নদীর পলি তোলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে ৩৪৬০ কোটি টাকা চাওয়া হচ্ছে। রাজ্যে ৪৪৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধের মধ্যে আপাতত ২৩৯০ কিলোমিটার অংশ বিপজ্জনক ও সাড়ে নয়শো কিলোমিটার বাঁধ অতি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, বরাক ও তাদের শাখানদীগুলি মিলিত জলপ্লাবনে রাজ্যের প্রায় সব ক’টি জেলায় বাঁধ ভেঙেছে। এ গুলি যত শীঘ্র সম্ভব সারানো দরকার। এ বন্যার জল সরে গেলে নদীবক্ষে প্রচুর পলি জমে নাব্যতাও কমে যাবে। তা সরাতেও অবিলম্বে অর্থ ও পরিকাঠামো প্রয়োজন। এ দিকে আজই বন্যার ক্ষয়ক্ষচি খতিয়ে দেখতে অসমে এসেছে কেন্দ্রীয় সমীক্ষক দল। |
এ দিকে রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫। নিখোঁজ ১৭ জন। বন্যার জল কমার সঙ্গে সঙ্গেই পূনর্বাসনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এখনও ৬৭,৯০৩ জন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। শুধু মানুষ নয়, অসমে এ বারের বন্যায় বনের পশুরা যে ব্যাপক হারে মারা পড়েছে তাতেও উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রক। শুধু কাজিরাঙাতেই ৬০০-র বেশি প্রাণী মারা পড়েছে। পবিতরা অরণ্যও বানের জলে ভেসেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছে হগ ডিয়ার। এখনও অবধি ৫১২টি এই প্রজাতির হরিণের দেহ মিলেছে। গন্ডার মারা গিয়েছে ১৭টি। হাতি একটি। তবে, বাঘ মৃত্যুর কোনও খবর এখনও মেলেনি। কাজিরাঙা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অবস্থা খতিয়ে দেখতে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির প্রতিনিধিরা কাজিরাঙা আসছেন। ১৯৯৮ সালের বন্যার পরে, কাজিরাঙায় এত বেশি প্রাণহানি আর ঘটেনি। স্বভাবতই চিন্তিত বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠনগুলি। |