গ্রীষ্মে সব্জি চাষ মার খাওয়ায় তেমন দাম পাননি চাষি। বর্ষা নামার পরে উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু সরকারের চাপে পড়ে পাইকারেরা বেশি দামে সব্জি কিনতে ‘অনীহা’ দেখানোয় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ চাষিদের। জামালপুরের শুঁড়ে কালনা বাজারে রাস্তায় সব্জি ফেলে প্রতিবাদ জানান চাষিদের একাংশ। সোমবারও তাঁরা একই কাণ্ড করেছিলেন। যদিও প্রশাসনের মতে, ঘটনার নেপথ্যে ফড়েদের চক্রান্ত থাকতে পারে।
জামালপুরের সব্জি চাষিদের দাবি, প্রতি কেজি পটল বা ঝিঙের উৎপাদন খরচ প্রায় ৫ টাকা। কিন্তু পাইকারেরা তা মাত্র ২-৩ টাকায় কিনতে চাইছেন। চাষি প্রকাশ মাইতির অভিযোগ, “বাজারে ফসল নিয়ে গেলেও পাইকারেরা তা কিনছেন না। তাঁদের দাবি, শহরের বাজারে গেলে পুলিশ ও প্রশাসনের টাস্ক ফোর্স হেনস্থা করছে। ফলে ফসল কেনা সম্ভব নয়। কারও দাবি, জলের দরে না দিলে তাঁরা সব্জি কিনতে পারবেন না।” |
শুঁড়ে কালনা বাজারের অন্যতম পাইকারি সব্জি বিক্রেতা শেখ আজাদ রহমান, সৌভিক দাসদের অভিযোগ, “আমরা চাষিদের থেকে মাল কিনি। কিন্তু শহরের দিকের বাজারগুলিতে গেলে পুলিশ ধরপাকড় করছে। বলছে, আমরাই সব্জির দাম বাড়াচ্ছি। সামান্য লাভ রেখে ফসল আনছি বলে জানালেও কেউ বিশ্বাস করছেন না। বাধ্য হয়েই ফসল না কিনে আমরা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছি।”
জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “জামালপুরের বিডিও কথা বলতে গিয়েছিলেন চাষিদের সঙ্গে। কিন্তু চাষিরা নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলতে চাননি। এলাকার কোন কোন ফড়ে ফসল কিনতে চাইছেন না, সে কথা ওঁরা জানালেই প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে।” তাঁর মতে, “ওই এলাকায় আরও অনেকগুলি বাজার আছে। কারালাঘাট, জামালপুর বাজার বড় পাইকারি বাজার। সেখানে ন্যায্য দামে স্বাভাবিক ভাবেই সব্জি কেনা-বেচা চলছে। শুধু শুঁড়ে কালনায় পাইকার বা ফড়েরা ফসল কিনছে না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। মনে হচ্ছে, এটা ফড়েদের ষড়যন্ত্র। ওখানকার চাষিদের ওই দুটি তুলনামূলক বড় বাজারে গিয়ে ফসল বিক্রি করতে বলা হয়েছে।” |