লরি বোঝাই কয়েক লক্ষ টাকার চোরাই টিন উদ্ধার করল কালনা পুলিশ। সোমবার ফাঁদ পেতে ওই চোরাই করগেট টিন উদ্ধার করে তারা। লরির চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নাম বাপন শেখ ও কামরুল হুদা। বাড়ি যথাক্রমে বর্ধমান সদরের গোলাপবাগ ও ভেদিয়া এলাকায়। বাপনের কাছ থেকে একটি ইমপ্রেস ভাইস রিভলবার ও দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কী ভাবে ওই টিন তাদের কাছে এল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কালনা পুলিশ। |
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় কালনা থানার ওসি অমিতকুমার মিত্র খবর পান যে হুগলি ও বর্ধমানের কয়েক জন ব্যক্তি টিন বিক্রি করতে চাইছেন। সেই টিন চোরাই পথে জোগাড় করা হয়েছে। এর পরেই ক্রেতা সেজে ওই বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তারা গাড়ি বোঝাই টিনের দাম চায় ১৮ লক্ষ টাকা। দরাদরি করার পর তারা ওই টিন ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হয়। যে গাড়িতে করে মাল পাঠানো হবে, সে গাড়ি ও সেটির চালকের ছবি অমিতবাবুর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয় তারা। ঠিক হয়, মঙ্গলবার সকালে কালনা শহরের একটি শিবমন্দিরের কাছে লরিটি আসবে। সেই মতোই ওই অঞ্চলে নজরদারিতে সাদা পোশাকের পুলিশদের বহাল রাখা হয়। বেলা ১০টা নাগাদ অমিতবাবুকে খবর পাঠানো হয়, চাকা ফেটে শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ধাত্রীগ্রাম বর্ধমান রোডে মধুপুর এলাকায় খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে লরিটি। সাদা পোশাকের পুলিশ-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন, ওই লরির ভিতরেই ওই চোরাই টিন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সেজে রাস্তার পাশ থেকে লরিটিকে সরিয়ে রাখার জন্য হাঁক দিয়ে চালক ও খালাসিকে ডাকেন তাঁরা। উপস্থিত হতেই তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর কালনার এসডিপিও ও সিআই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তল্লাশি করে প্রায় ২৭ টন টিন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হুগলির শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি স্টিল কারখানা থেকে ওই টিন কেনা হয়েছে। |