এখনও সে ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়নি। কিন্তু যে টুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল ছবি ফুটে বেরিয়েছে। সুষ্ঠু নিকাশির অভাবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। জমা জল মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। তার উপর যানবাহনের চাকায় নোংরা জল ছিটকে নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, শহরের আশপাশে জল নিকাশির জন্য যে সব নিকাশি নালা ছিল সেগুলির দীর্ঘদিন ধরে কোনও সংস্কার হয়নি। ফলে সেগুলি জল নিকাশির ক্ষমতা হারিয়েছে। ফলে জল বের হতে পারছে না। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনের নানা মহলে জানানো হলেও কোনও কাজই হয়নি।
এ দিন দেখা গেল ক্যানিং মহকুমা দফতর সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস্তার উপরে এসে জমা হচ্ছে শৌচালয়ের নোংরা জল। তা মাড়িয়েই চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। সামান্য বৃষ্টিতেই জল থই থই অবস্থায় ক্যানিং-১ ব্লক লাগোয়া ক্যানিং-বারুইপুর রোড। |
একেই খানাখন্দে ভরা রাস্তা। তার উপর রাস্তায় জমা জমা না সরায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, মহকুমা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন প্রশাসন। সুষ্ঠু নিকাশির অভাবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় সাপুই, ছোটু মোল্লারা বলেন, “শহররে জল বেরোনোর জন্য যে নিকাশি নালাগুলি ছিল সংস্কার না হয়ে হয়ে তা বুজে গিয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেও জল বের হতে পারছে না। রাস্তায় জল জমে থেকে থেকে দুর্গন্ধ উঠছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনও নজরই নেই। তা ছাড়া কয়েকটি জায়গায় নিকশি নালার উপরে বেআইনি ভাবে গজিয়ে উঠেছে দোকনপাট। সেই সব দখলদারি সরাতেও প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই।” এই অবস্থায় জমা জল থেকে নানা রকম রোগের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মলয় কুমার দাস বলেন, “যে কোনও জমা জল থেকে ডায়েরিয়া, চর্মরোগ, টাইফয়েড দেখা দিতে পারে। এ জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় ঘুরছেন। তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।”
আর নিকাশির বেহাল অবস্থা প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, “ক্যানিংয়ে নিকাশির সমস্যা নিঃসন্দেহে একটা বড় সমস্যা। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা চেষ্টা হচ্ছে।” স্থানীয় বিধায়ক ও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বলেন, “নিকাশি সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায় তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।” |