|
|
|
|
হলদিয়ায় বস্তি-উচ্ছেদ |
সিপিএমের ৪ ধৃতের জামিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
‘বস্তি-সংঘর্ষে’ জেলবন্দি হলদিয়া পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর সদানন্দ মাইতি-সহ ৪ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল সোমবার, পূর্ব-মেদিনীপুর জেলা দায়রা আদালতে। তবে, ওই ঘটনায় ধৃত সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের সিটু-নেতা প্রণব দাসের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ জুলাই নির্ধারিত হয়েছে। এরই মধ্যে এ দিনই প্রণব দাসের জেল-হাজতের মেয়াদ ১৪ দিন বাড়িয়েছে হলদিয়া আদালত।
গত জুনে জেলা প্রশাসন হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বেআইনি দখল উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিবাদ শুরু করে সিপিএম। সিপিএম নিয়ন্ত্রিত বস্তি-সংগ্রাম কমিটি হাইকোর্টে মামলা করলে উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এর পরই ২৩ জুন রাতে হলদিয়া থানায় আইওসির এক নম্বর গেটের সামনে পরমানন্দচক বস্তিতে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রণব দাস-সহ ১২ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। তার ভিত্তিতেই সিপিএমের সদ্য-নির্বাচিত কাউন্সিলর-সহ ৪ জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে গত ৬ জুলাই নিমতৌড়ির জেলা সিপিএম কার্যালয় থেকে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব দাসকে গ্রেফতার করা হয়। একই ঘটনায় সিপিএমের তরফে তৃণমূলের কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ যে ২০ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাঁদের কাউকেই অবশ্য পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এ কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকদলের ‘অঙ্গুলিহেলনে চলা’র অভিযোগ উঠেছে। হলদিয়া পুরভোটে হেরে তৃণমূল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাচ্ছে বলেও অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। প্রথমে গত ২৪ জুন সিপিএম-সমর্থক পিন্টু গিরি ও রমা মাইতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৬ জুন হলদিয়া পুরভবনে শপথ-গ্রহণের পরেই গ্রেফতার করা হয় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর সদানন্দ মাইতিকে। এর পর ২৮ জুন গ্রেফতার হন বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলাকারী গোপাল চাকরা। এই ৪ জনের তরফে জেলা আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হয়। সোমবার জামিন মঞ্জুর হয়। ৬ তারিখে ধৃত প্রণব দাসের জামিনের শুনানি আগামী ১৯ জুলাই ধার্য হয়েছে জেলা আদালতে। এরই মধ্যে এ দিনই প্রণব দাসের জেল-হাজতের মেয়াদ ১৪ দিন বাড়িয়েছে হলদিয়া আদালত। |
|
|
|
|
|