সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শে এ বার ইডেন চত্বরে থাকা মান্ধাতার আমলের ইন্ডোরকে ঢেলে সাজাচ্ছে সিএবি। মান্ধাতার আমলের পঙ্কজ গুপ্ত ইন্ডোরকে পুরোদস্তুর বদলে ফেলে চেষ্টা চলছে ইন্ডোরকে নতুন চেহারা দেওয়ার। কারণ সৌরভ সিএবিকে সাফ জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় স্তরে ভাল করতে হলে অবিলম্বে ইন্ডোরের জিম এবং উইকেটের আধুনিকীকরণ দরকার।
দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে সেরা অ্যাকাডেমি ধরা হয় জয়পুরের রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে। ওই অ্যাকাডেমিকে তৈরি করেছিলেন আইপিএলের জনক ললিত মোদী। ওই একই ছাঁচ, অর্থাৎ মোদী-মডেলই অনুসরণ করতে চাইছে সিএবি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ এনে এনবিএ-র নামী টিমের জিমের আদলে তৈরি হয়েছিল জয়পুরের অ্যাকাডেমি। ভিন্ন ‘সারফেস’-র আটটা নেট সহ বিশ্বমানের জিম এবং সর্বোচ্চ মানের অনুশীলনের ব্যবস্থা রয়েছে জয়পুরে। যাকে বিশ্বসেরা অ্যাকাডেমির অন্যতম বলে সার্টিফিকেট দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল।
উল্টো দিকে সিএবি ইন্ডোরের অবস্থা এত দিন ছিল হতশ্রী। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সৌরভ। ওয়ার্কিং কমিটিতে সিএবি কর্তাদের জানিয়েছিলেন, ফিটনেস ছাড়া আধুনিক ক্রিকেট কিছু করা সম্ভব নয়। এবং এ দিকে অবিলম্বে নজর দেওয়া দরকার। আবার গত আইপিএলের সময়ও ওয়াসিম আক্রম সিএবি কর্তাদের বলেছিলেন, ইন্ডোরের সিন্থেটিক উইকেটের মান একেবারেই বিশ্বমানের নয়। সোমবারের ইন্ডোরে যেমন দেখা গেল, এক দিকে ডাঁই করা আবর্জনার পাহাড়। তিনটে মাত্র নেট। সিন্থেটিক টার্ফের দশাও খারাপ। তার উপর দেওয়াল থেকে জায়গায় জায়গায় খসে পড়ছে পলেস্তারা।
ওয়ার্কিং কমিটিতে সৌরভের প্রস্তাব আসার পর নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে সিএবি। ইতিমধ্যেই একটি নির্মাতা সংস্থাকে বলা হয়েছে, আরসিএ ছাড়াও মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার অ্যাকাডেমি দেখে আসতে। জিমের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক বিশ্বসেরা দু’টো সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। যাদের মধ্যে একটি সংস্থা আবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার জিম তৈরির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু বোধোদয় হতে এত দিন কেন? উত্তরে সিএবি-র যুগ্ম-সচিব বিশ্বরূপ দে বললেন, “মেনে নিচ্ছি আমাদেরই গাফিলতি ছিল। সৌরভও কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এক বছরের মধ্যে নতুন ইন্ডোর দেখা যাবে।” |