আর মাত্র দিন তিনেক পরেই লন্ডন পাড়ি দিতে চলেছেন নাগাল্যান্ডের দ্বিতীয় ‘অলিম্পিয়ান’। যাঁর সাফল্য কামনায় আপাতত প্রার্থনাসভা চলছে নাগাল্যান্ড জুড়ে।
১৯৪৮ ভারতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে লন্ডন অলিম্পিকে গিয়েছিলেন ড. তালিমেরেন আও। তার পর কেটে গিয়েছে সাড়ে ছ’দশক। এ বার আবার অলিম্পিক। আবার লন্ডন। এবং নাগাল্যান্ডের মেয়ে চেকরোভলু সুওরোকে ঘিরে তিরন্দাজিতে পদকের স্বপ্ন দেখছে গোটা দেশ। |
নাগাল্যান্ডের দ্বিতীয় অলিম্পিয়ান |
ঘরের মেয়ে অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ায় চাকেসাং ব্যাপটিস্ট গির্জা গতকাল প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও বলেছেন, “একই বছরে, রাজ্যের এক মহিলা এভারেস্ট জয় করলেন, অন্য জন পাড়ি দিচ্ছেন অলিম্পিকে। দারুণ আনন্দের সময়। লন্ডনে গিয়ে সুওরোর তিরন্দাজি দেখব ভাবছি।” সুওরো বলছিলেন, “রাজ্যবাসী যে ভাবে আমার জন্য প্রার্থনা চালাচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি এর মর্যাদা রাখতে পারব।” সুওরো ছাড়াও, উত্তর-পূর্ব থেকে অসমের তিরন্দাজ জয়ন্ত তালুকদারও অলিম্পিকে যাচ্ছেন।
ফেক জেলার দ্জুলহা গ্রামের মেয়ে সুওরো। তিরন্দাজির সৌজন্যে নাগাল্যান্ড পুলিশের এএসআই। দিদি ভেসুজলুকে দেখেই এক দিন তির-ধনুক হাতে তুলে নিয়েছিলেন। ১৬ বছরে তিরন্দাজিকে প্রধান পেশা হিসাবে বেছে নেন। ১৯৯৬ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো, ১৯৯৯-এ সোনা। জাতীয় পর্যায়ে আরও তিনটি সোনা আছে। এশীয় পর্যায়ে ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে রুপো। প্রতিভা দেখে মিত্তল চ্যাম্পিয়ন ট্রাস্ট তাঁর প্রশিক্ষণের ভার নেয়। ২০০৬ কমনওয়েলথে সোনা পান তিনি। ডোভার বিশ্বকাপে দলগত ব্রোঞ্জ। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনটি ব্রোঞ্জ-সহ সুওরো বিশ্বে ক্রমপর্যায়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসেন। এ বার অলিম্পিক। সুওরোর আশা, লন্ডনে তাঁর সংগ্রহে সব থেকে কাঙ্ক্ষিত পদকটা যোগ হবে।
|