উইম্বলডন সাঙ্গ হতেই ফের ভারতীয় টেনিসে অলিম্পিক বিতর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। সানিয়া মির্জার প্রাক্তন রুশ ডাবলস পার্টনার এলেনা ভেসনিনাকে নিয়ে গতকাল লিয়েন্ডার পেজ উইম্বলডনে মিক্সড ডাবলস ফাইনালে হেরে যান। মার্কিন জুটি মাইক ব্রায়ান-লিজা রেমন্ডের বিরুদ্ধে প্রচুর লড়ে লিয়েন্ডাররা যখন ৩-৬, ৭-৫, ৪-৬ হারেন ভারতীয় সময় তখন রবিবার মধ্যরাত। লিজাকে নিয়ে লিয়েন্ডার ১৩ বছর আগে ১৯৯৯-এ উইম্বলডনে মিক্সড ডাবলস খেতাব পেয়েছিলেন। সোমবারই লিয়েন্ডারের ওয়ার্ল্ড টিম টেনিস খেলতে আমেরিকায় চলে যাওয়ার কথা। অলিম্পিকে লিয়েন্ডারের ডাবলস পার্টনার বিষ্ণু বধর্র্ন রবিবার সেন্টার কোর্টে মিক্সড ডাবলস ফাইনাল দেখেন। বিষ্ণু-সহ পুরো ভারতীয় অলিম্পিক টেনিস দলের লন্ডনে ঘাসের কোর্টে প্র্যাক্টিসের ব্যবস্থার চেষ্টা করছে এআইটিএ। শুধু লিয়েন্ডার দু’সপ্তাহ পরে প্র্যাক্টিসে যোগ দেবেন।
এ দিকে, মহেশ ভূপতি, সানিয়াদের মুখে এখন অলিম্পিক বিতর্ক প্রসঙ্গে সন্ধির কথা শোনা যাচ্ছে। মহেশ যেমন বলছেন, “অলিম্পিক বিতর্ক এখন অতীত,” তেমনই সানিয়া এ দিন বলেছেন, “অলিম্পিক বিতর্ক ভারতীয় টেনিসে কারও কোনও ভাল করেনি। বরং আমার সঙ্গে মহেশ-লিয়েন্ডার, দু’জনেরই সম্পর্ক খারাপ করে দিয়েছে। তবে আশা করি, আমরা খারাপ স্মৃতি ভুলে অলিম্পিকে দেশের হয়ে সেরাটা দেব।” একই সঙ্গে সানিয়া এ-ও শুনিয়ে রেখেছেন, মহেশের সঙ্গে তিনি অলিম্পিকে খেলতে পারলেও ভাল হত। “আমি মূলত ফোরহ্যান্ড আর মহেশ ব্যাকহ্যান্ড প্লেয়ার,” বলার পাশাপাশি তিনি অবশ্য যোগ করেছেন, “তবে লিয়েন্ডারও খুব ভাল ডাবলস প্লেয়ার। অলিম্পিকে ওর পার্টনার হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা দু’জনে অনেক দিনের বন্ধু। যদিও ‘বন্ধু’র উইম্বলডনে মিক্সড ডাবলস ফাইনাল নিয়ে সানিয়া একটি মন্তব্যও করেননি। বরং একাধিক টুইট করেছেন মারেকে নিয়ে। মারের কান্না দেখে সানিয়ারও নাকি কান্না এসে গিয়েছিল! মহেশ আবার ফেডেরারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে দেদার টুইট করেছেন। তবে তিনিও লিয়েন্ডারের ফাইনাল নিয়ে একটাও টুইট করেননি।
উইম্বলডনের সময় তিনিও বিষ্ণুর মতো লিয়েন্ডারের সঙ্গে অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়েছেন কি না প্রশ্নে সানিয়া বলেছেন, “উইম্বলডনের শেষ দিন পর্যম্ত লিয়েন্ডারের ম্যাচ ছিল, তা সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে গত দু’সপ্তাহে লন্ডনে দেখা বা কথা হয়নি।” সানিয়া জানাচ্ছেন, তিনি এখন সান দিয়েগোতে টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন। সেখান থেকে লন্ডনে যাবেন। লি-র সঙ্গে প্র্যাক্টিসে নামবেন ২৩ জুলাই।
|