|
|
|
|
বাম-মহিলাদের ‘আইন অমান্য’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘জঙ্গি’ মনোভাব নিয়েই আন্দোলনের ময়দানে থাকার জন্য সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের পরামর্শ দিলেন সিপিএমের মহিলা সংগঠন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অন্যায়-অত্যাচার চলছে। মহিলাদের উপর আক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ‘জঙ্গি মনোভাব’ নিয়ে আন্দোলনের ময়দানে থাকতে হবে। তবেই আক্রমণকারীরা পিছু হটতে পারে। বামপন্থী মহিলা সংগঠনগুলির ডাকে সোমবার মেদিনীপুরে আইন-অমান্য কর্মসূচি পালিত হয়। শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে বিভিন্ন পথ ঘুরে মিছিল পৌঁছয় জেলাশাসকদের দফতর সংলগ্ন কালেক্টরেট মোড়ে। এখানে বিক্ষোভ-সভা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দরানি দল, আভা চক্রবর্তী, ভারতী রাণা প্রমুখ।
গত এক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুরেও মহিলাদের উপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন বামপন্থী মহিলা সংগঠনগুলির নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ- প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হলেও সুরাহা হচ্ছে না। |
|
বাম মহিলা সংগঠনের প্রতিবাদ-মিছিল মেদিনীপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
যারা হামলা করছে, তাদের বহাল তবিয়তেই রাখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জানানো হলেও অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না। নারী নির্যাতন বন্ধ, মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি রোধ-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে এ দিন মেদিনীপুরে আইন-অমান্য কর্মসূচি নেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বামপন্থী মহিলা সংগঠনগুলির কর্মী- সমর্থকেরা শহরে আসেন। বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে তা নান্নুরচক, বটতলাচক, কলেজ মোড় হয়ে কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছয়। মিছিলের জেরে বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ দিকে, আইন-অমান্য কর্মসূচি ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সোমবার সকাল থেকেই কালেক্টরেট মোড়ে ‘বাড়তি’ পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। এক সময়ে কয়েকজন মহিলা গেট খুলে কালেক্টরেট-চত্বরের মধ্যে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া মহিলা কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য জামিনে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|