এসএফআইয়ের ডেবরায়
ডিওয়াইএফের জেলা সম্মেলন মেদিনীপুরেই
প্রাথমিক ভাবে তিনটে জায়গার নাম উঠে এসেছিল। ডেবরা, কেশিয়াড়ি ও মেদিনীপুর। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শেষমেশ মেদিনীপুর-ই বেছে নিলেন ডিওয়াইএফের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। এ বার সিপিএমের এই যুব-সংগঠনের জেলা সম্মেলন হবে মেদিনীপুরেই। আগামী ২৬-২৯ অগস্ট রাজ্য সম্মেলন রয়েছে। তার আগে ১১-১৩ অগস্ট মেদিনীপুর শহরের জেলা-পরিষদ হলে জেলা সম্মেলনের আয়োজন হবে। তবে সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশ্য সমাবেশ কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। শহরের কলেজ মোড়েই এই সমাবেশ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অন্যত্র পরিস্থিতি ‘প্রতিকূল’ হওয়ায় সিপিএমের জেলা সম্মেলনও এ বার মেদিনীপুরেই হয়েছে। যুব-সংগঠনের একাংশ নেতৃত্ব অবশ্য চেয়েছিলেন, সংগঠনের জেলা সম্মেলন সদর শহরের বাইরে হোক। সে ক্ষেত্রে কর্মী-সমর্থকেরাও আরও ‘উৎসাহিত’ হবেন। হারানো ‘জমি’ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও থাকে। সাংগঠনিক সূত্রের খবর, ডিওয়াইএফের জেলা কমিটির এক বৈঠকে সম্মেলনের বিষয়টি উঠতেই তিনটে জায়গার প্রস্তাব আসে---ডেবরা, কেশিয়াড়ি ও মেদিনীপুর। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হয়। দীপকবাবুর মতামত দেখে, সংগঠনের মধ্যে আলোচনা করেই শেষমেশ জেলা সম্মেলন মেদিনীপুরে করারই সিদ্ধান্ত নেন নেতৃত্ব। কেন সম্মেলন অন্যত্র হবে না? ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক কমল পলমল বলেন, “সকলে চেয়েছিলেন বলেই মেদিনীপুরে জেলা সম্মেলন হবে। আমি এটুকুই বলতে পারি।”
সম্মেলনের জায়গা চূড়ান্ত হলেও সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশ্য সমাবেশে কোথায় হবে, তা ঠিক করতে পারেননি নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশ্য সমাবেশ মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে হয়েছিল। কিন্তু, এখানে সমাবেশ করতে গররাজি যুব সংগঠনের একাংশ নেতা। তাঁদের বক্তব্য, এত বড় মাঠে লোক ভরানোর একটা ব্যাপার রয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কলেজ মোড় বা বিদ্যাসাগর হলের মাঠে সমাবেশ হলেই ভাল। রাজ্যে পালাবদলের আগে পর্যন্ত এ জেলার বিস্তীণর্র্ এলাকায় সিপিএমের ‘একাধিপত্য’ ছিল। পালাবদলের পর অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে। কমবেশি সর্বত্র তৃণমূলের প্রভাব বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ বারই প্রথম বিভিন্ন-স্তরের সম্মেলনের দিনক্ষণ ও জায়গা ঠিক করতে হিমসিম খেতে হয়েছে ডিওয়াইএফ নেতৃত্বকে। সম্মেলন করতে গিয়ে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল সিপিএমকেও। জুন মাসের ১৬ তারিখ থেকে যুব সংগঠনের জোনাল-স্তরের সম্মেলন শুরু হয়েছে। চলবে চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত। এর পরেই জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হবে।
ডেবরায় সম্মেলন না করার জন্য ডিওয়াইএফের কিছু নেতার আবার যুক্তি, এসএফআইয়ের জেলা সম্মেলন ডেবরায় হবে বলেই ওখানে যুব-সংগঠনের সম্মেলন হল না। আগামী ২৪ থেকে ২৬ অগস্ট এসএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলন রয়েছে। তার আগে ১৮-১৯ অগস্ট ছাত্র সংগঠনের জেলা সম্মেলন হবে ডেবরায়। এ ক্ষেত্রেও প্রাথমিক ভাবে দু’টি জায়গার নাম উঠে এসেছিল। ডেবরা ও মেদিনীপুর। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রথম নামটিকেই বাছা হয়েছে। সম্মেলন হতে পারে স্থানীয় কলেজ ক্যাম্পাসে। ইতিমধ্যে ছাত্র সংগঠনের ইউনিট সম্মেলন শুরু হয়েছে। পুরো জুলাই মাস জুড়ে ইউনিট ও লোকাল কমিটির সম্মেলন চলবে। অগস্টের শুরুতে জোনাল স্তরের সম্মেলন শুরু হবে। তবে এ বার অনেক সম্মেলনই ‘খাতায়-কলমে’ সারতে হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ার জন্যেই এই পরিস্থিতি। এলাকায় থেকে সম্মেলন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য ‘প্রতিকূল’ পরিস্থিতিকেই দুষছেন এসএফআইয়ের জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের উপর নানা ভাবে ‘চাপ’ সৃষ্টি করা হয়েছে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “কর্মসূচি সফল করতে কিছু ক্ষেত্রে কৌশলগত অবস্থান নিতে হচ্ছে।”
নতুন সম্পাদক। ডিওয়াইএফআইয়ের মেদিনীপুর শহর জোনাল নেতৃত্বে ‘পরিবর্তন’ এল। নতুন সম্পাদক হলেন স্নেহাশিস দত্ত। রবিবার রাতে শহরের কৃষকভবনে জোনাল সম্মেলন হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক কমল পলমল। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন জোনাল কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। আগে ডিওয়াইএফের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন জয়ন্ত মজুমদার। জয়ন্তবাবু মেদিনীপুর পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর জায়গায় নতুন সম্পাদক হলেন স্নেহাশিস দত্ত। আগে সভাপতি ছিলেন শান্তনু দত্ত। তার জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন কুন্দন গোপ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.