তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। তার পর থেকেই কিছু অপরিচিত লোকজন তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন বর্ধমানের তৃণমূল মহিলা সেলের সভাপতি শঙ্করী দে। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, তা খুঁজে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর সুহৃদ পাড়ার বাসিন্দা শঙ্করীদেবীর অভিযোগ, ইয়াকুব হোসেন নামে ওই ব্যবসায়ী বারবার তাঁকে জি টি রোডের একটি হোটেলে ডেকে পাঠান। তিনি সেখানে না গেলে ইয়াকুব টেলিফোনে তাঁকে গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। পরে তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র লোকজন নিয়ে ঢুকে ওই ব্যবসায়ী তাঁকে ও বাড়ির অন্য মহিলাদের মারধর ও হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। শঙ্করীদেবীর আরও অভিযোগ, তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলা হয়, তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলারা ওই হোটেলে না গেলে তাঁকে খুন করা হবে।
শঙ্করীদেবী এ ব্যাপারে অভিযোগ করার পরে বর্ধমান থানার পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরেই কংগ্রেস ও তৃণমূলের কিছু স্থানীয় নেতা ওই ব্যবসায়ীকে ছাড়ানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে ১ জুলাই ওই ব্যবসায়ীকে বর্ধমান আদালতে তুলে তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনদের ধরতে ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। তবে বর্ধমান থানা লক -আপে থাকাকালীন ওই ব্যবসায়ী অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ, মঙ্গলবার ওই ব্যবসায়ীকে ফের আদালতে তোলার কথা।
শঙ্করীদেবী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন, গত ৩ -৪ দিন ধরে কিছু অপরিচিত লোকজন তাঁকে অনবরত অনুসরণ করছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের ইয়াকুবের লোক বলে পরিচয় দিয়ে তাঁকে মামলা তুলে নিতে বলছে। তা না হলে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। এমনকী, ফোনেও তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার এ ব্যাপারে বর্ধমান থানাকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। |