জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, বিডিও ও মহকুমাশাসকদের নিয়ে একটি আগাম বন্যা প্রস্তুতি সভার আয়োজন করল জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে সংস্কৃতির অ্যানেক্স হলে এই বৈঠক হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিটি বিভাগ বিশেষত, কৃষি, সেচ, খ্যাদ্য, স্বাস্থ্য, পূর্ত ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরকে সতর্ক থাকতে হবে। জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “বন্যায় ধান নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যাতে মুসুর ও মুগ ডালের মিনিকিট দেওয়া হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে কৃষি দফতরকে। |
পশুপালন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অতিরিক্ত ওষুধ মজুত করতে বলা হয়েছে। খাদ্য দফতরকেও বাড়তি কেরোসিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেচ দফতরকে সমস্ত বাঁধের দুর্বল জায়গা অবিলম্বে সারিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। ক্যানালের উপরে থাকা লক গেটগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, ব্লকগুলিকে বিপদ সামলাতে ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রান ও উদ্ধার কাজের জন্য ২০০ লোকের একটি সেচ্ছাসেবী বাহিনীও তৈরি করা হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে রবিবার ১০০ মিলিলিটারের উপর বৃষ্টি হয়েছে। তবে জুনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা তার চেয়ে প্রায় ১০০ মিলিমিটার কম হয়েছিল। জুলাইয়ে আরও ১৮০ -৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি দরকার। তবে জেলা কৃষি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর শামল দত্ত বলেন, “কালনা, কাটোয়াতে মোটামুটি বৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমানে রবিবারের বৃষ্টির পরে এই তিন মহকুমায় খরিফ ধানের বীজতলা তৈরির কাজ সম্ভব হবে।” জেলার ৭০ -৮০ হাজার হেক্টরে খরিফ ধান চাষ হওয়ার কথা। এখনও তার মাত্র দশ শতাংশ হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর। |