|
|
|
|
|
|
রবিবারের জন্য বসে থাকতে হয় না
ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় |
|
রবিবার দিনটা আমার কাছে একটা স্টেট অব মাইন্ড। সারা সপ্তাহ কাজের পর এক দিনের ছুটি। নিজের জন্য খানিকটা সময়ের দাবিদার হওয়া। আমাদের যেমন রবিবার ছুটির দিন, তেমনি বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা শুক্রবার। মাঝেমধ্যে যখন কাজেকর্মে বাংলাদেশে যাই তখন হঠাৎ করে রবিবারের বদলে শুক্রবার দিনটাকে ছুটি হিসেবে মানতে মনের ভেতর খচখচ করে।
যেহেতু আমি এখন স্বাধীন ভাবে কাজ করি, দশটা পাঁচটা কোনও অফিসে বা কর্মস্থলে গিয়ে কাটাতে হয় না, তাই নিজের ছুটির সময় নিজেই বের করে নিই। রবিবারের জন্য বসে থাকতে হয় না।
আমি যখন বিজ্ঞাপন জগতের কাজ করতাম তখন সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ হত। শনি রবি ছুটি। শনি রবিকে কিন্তু তাই বলে আবশ্যিক ছুটি হিসেবে ধরে নেওয়া হত না। মাঝে মাঝে শনি রবিতেও কাজ হত প্রয়োজন থাকলে। সেই কাজের পর আমরা ইচ্ছে মতো বুধবার বা সোমবার ছুটিও নিয়ে নিতাম। আমাদের এজেন্সিতে কাজের স্বাধীনতা ছিল। নির্দিষ্ট ঘণ্টা মেপে কাজও ছিল না, ছুটির জন্য কোনও মাতামাতিও ছিল না। চাকরি জীবনে ঢোকার পর থেকেই রবিবার ব্যাপারটার তাৎপর্য মুছে গিয়েছিল। |
|
এখন আমি বিজ্ঞাপনের কাজ কম করি। কিন্তু যে কাজ করি তাতেও যে ছুটি থাকবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। সপ্তাহের মধ্যে একটা কোনও সময় অবসর বের করে নেওয়ার ইচ্ছে নিশ্চই থাকে। কিন্তু সেটা যে রবিবারই হবে এমন ভাবে ভাবি না।
রবিবারের সঙ্গে আড্ডা-গেট টুগেদারের একটা সম্পর্ক আছে। আমার যারা বন্ধুবান্ধব তাদের কাজকর্ম এমনই যে, রবিবার দিনই দেখাসাক্ষাৎ করা যাবে, অন্য দিন নয়, এমন শর্তে তারা বাধ্য নয়। আজকাল দেখছি অনেকেই উইক-এন্ড বলতে শুক্রবার বা শনিবারকেই বেশি পছন্দ করছেন, রবিবার দিনটা না হয় বিশ্রামে, ঘরোয়া বিনোদনে কাটানোই ভাল, এমন একটা মনোভাব দেখা যাচ্ছে। তার কারণ পেশার টেনশন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, এই সব। রোববারের পর সোমবার। আবার ছ’দিনের দৌড়ঝাঁপ খাটাখাটানির প্রস্তুতি নিতে হবে তো।
কাজ ব্যাপারটা অনেকের কাছে শুধুই জীবিকা অর্জনের জন্য কিছু করা। এর একটা চাপ আছে। আমি কিন্তু সে ক্ষেত্রে লাকি। কারণ, আমার কাজ আর ভাল লাগার বিষয় এক হয়ে গেছে। এখন সিনেমা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া আমি আর যা করি তার মধ্যে রয়েছে বই পড়া। নানা কাজের চাপে আগে যে সব বই পড়া হয়নি এখন সেগুলো পড়ে ফেলা। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ইন্টারনেটের পড়াশোনা। আর আছে ফোটোগ্রাফি। এ সব কাজ সব সময়ই আমি করে থাকি। রবিবারের দরকার পড়ে না।
রবিবারের সঙ্গে পারিবারিক ছুটি কাটানোর একটা সম্বন্ধ অবশ্যই আছে। কিন্তু আমি ও আমার স্ত্রী থাকি কখনও চেন্নাই কখনও কলকাতা। ছেলে পেশায় সাংবাদিক, ট্রাভেল রাইটার। নানা দেশ ঘুরে লেখালিখি করে। তারও শনি রবি ছুটির ব্যাপার নেই। তাই আমাদের দেখা হওয়া মানে একটা বিশেষ সময়। রবিবারের মতো একটামাত্র দিনের জন্য সেটা নির্দিষ্ট হতে পারে না।
তবে হ্যাঁ, ছেলেবেলায় রবিবারের মজা ছিল আলাদা। পড়তাম সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। রবিবারেও আমাদের স্কুলে যাওয়ার কারণ ঘটত। আমাদের স্কুলেই একমাত্র প্রত্যেক রবিবার প্রোজেক্টর লাগিয়ে সিনেমা দেখানো হত। ‘বেন হার’, ‘টেন কমান্ডমেন্টস’, এই সব ছবি স্কুলেই দেখেছি রবিবার। শুধু ছাত্ররাই নয়, অভিভাবকেরাও টিকিট কেটে সেই সব ছবি দেখতে যেতে পারতেন। যদিও টিকিটের দাম ছিল খুবই সামান্য।
ছেলেবেলায় রবিবার বিকেলে সপরিবার মামার বাড়ি যাওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। সেখানে অন্য ভাইবোনেরা আসত। মামার বাড়ি থেকেই দল বেঁধে যাওয়া হত বাবুঘাট, চাঁদপাল ঘাটে গঙ্গার হাওয়া খেতে। বর্ষাকালে তাজা ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরে রান্নাবান্না করে খুব হইচই করে খাওয়া হত। আমার এক মেসো থাকতেন গার্স্টিন প্লেসের একটি সরকারি ফ্ল্যাটে। বিরাট সে বাড়ি। বাইরে পেল্লাই মাঠের মতো লন। সেই লনে মাঝে মাঝে আমাদের ফ্যামিলি ক্রিকেট হত সারা দিন ধরে। সেই সময় স্কুলে পড়ার চাপ ছিল না। হোমওয়ার্ক ঠিকঠাক সময়ে হয়ে যেত। তাই রবিবার বেশ সুখেই কেটেছে ছেলেবেলায়।
কলেজ পর্বে এসে রবিবারের চেহারাটা বদলাল। পড়তাম প্রেসিডেন্সিতে। সেই সুবাদে কফি হাউসে সারা সপ্তাহ আড্ডা ছিলই। কিন্তু রবিবার আড্ডা দিতে যেতাম গড়িয়াহাটে। গড়িয়াহাটের মোড়ে একটা বাড়ির দোতলায় ‘কসমোপলিটন’ কফি হাউস ছিল। আমরা বলতাম ‘কসমো’। তখন আমার বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। আশুতোষ কলেজ, বি ই কলেজ থেকে ছেলেরা আসত। আড্ডায় একটা মজার ব্যাপার হয়। কোনও নির্দিষ্ট বিষয় থাকে না। এক বিষয় থেকে আর এক বিষয়ে আড্ডা গড়িয়ে যেত। সমকালীন রাজনীতি, সাহিত্য এই সব। কোন কলেজে কী ঘটছে তা নিয়েও আলোচনা হত। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে মেয়েরা আড্ডা মারতে আসত। কিন্তু কসমোতে মেয়েরা আসত না। সেটা ছিল একেবারে ‘মেল’ আড্ডা। |
আমার প্রিয়
লেখক: এলমোর লেনার্ড,
লি চাইল্ড
সিনেমা: অরণ্যের দিনরাত্রি
গায়ক বা গায়িকা: সমকালীনদের মধ্যে মৌসুমী ভৌমিক,
হিন্দুস্তানি মার্গসঙ্গীতে কুমার গন্ধর্ব, পাশ্চাত্য সঙ্গীতে মার্ক নফলার
খাবার: পাট শাকের বড়া ভাজা |
|
এর পর বেশ কিছু দিনের জন্য আমি দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্স-এ পড়তে চলে যাই। হস্টেলে থাকতাম। রবিবার আমরা যেতাম কনট প্লেসে সিনেমা দেখতে।
দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালীন আমরা ‘সেলুলয়েড’ নামে ফিল্ম সোসাইটি গড়ে তুলি। রবিবার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে কিছুটা দূরে একটা সরকারি হলে এই সোসাইটির হয়ে আমরা শো-এর ব্যবস্থা করতাম। আমাদের উইক-এন্ড তখন ফিল্ম সোসাইটি পরিচালনার কাজ নিয়ে জমজমাট। ছবি আসত বিভিন্ন এমব্যাসি এবং কনসুলেট থেকে। রবিবার মাঝে মাঝে কানাডিয়ান এমব্যাসিতে যেতাম। সেখানে ভাল ভাল অ্যানিমেশন ছবি দেখানো হত।
দিল্লির ফিল্ম সোসাইটির জন্য কাজ করতে করতেই সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। কলকাতায় ফেরার পর সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি যেতাম ঘন ঘন। সেটা কোনও নির্দিষ্ট কারণে নয়। বিরাট আড্ডার মধ্যেও যে ভিড়ে পড়তাম সে বাড়িতে গিয়ে তা-ও নয়। ওঁর সঙ্গে আমার আড্ডা হত বইপত্র, সিনেমা, রাজনীতি নিয়ে। মাঝে মাঝে এই সব আলোচনার দিন রবিবারও যোগ হয়ে যেত।
|
সাক্ষাৎকার: সংযুক্তা বসু
|
|
|
• সবুজ শাসনকে ডোবাতে চলেছে আর এক সবুজ! সামান্য ঢেঁড়স, বেগুন, ঝিঙে, লঙ্কা, উচ্ছে, পটল যে এমন অবুঝ হয়ে দামের জোরে ‘লাল’ হয়ে যাবে, সে কথা সত্যিই আমরা ভাবতে পারিনি!
দীপু সাঁতরা। কুলটি
• ছেলের বিয়েতে দলের সব নেতাকে নেমন্তন্ন করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে ঐক্য আনবার কৌশল নিলেন দলের সভাপতি নিতিন গড়কড়ী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর কোন্দলে জর্জরিত এই দলের নানান বিভাজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেখা যাক, এই বার সকলকে ‘গড় করি’ বলার রাজনীতি কতটা কার্যকর হয়।
রবীন্দ্রনাথ সেন। রামপুরহাট
• দিল্লি দমকল এ বার সাংসদদের হাতে মারতে না পেরে ‘ভাতে মারা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি? তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সংসদ ভবনের মাস্টার ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগামী অধিবেশন ঘিরে প্রায় পাঁচ-ছ’হাজার মানুষ ‘ম্যায় ভুখা হুঁ’ বলে চেঁচাতে পারেন!
মৃদুলা দাস। চিত্তরঞ্জন পার্ক
• শোনা যাচ্ছে, বারুইপুরে মহিলা থানা চালু করতে গিয়ে মহিলা-পুলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ বেশির ভাগ পুরুষকেই জিজ্ঞেস করলে বলবে, বাপ রে আমার বউ তো বউ নয়, দারোগা! প্রশ্ন হল, সেই মহিলারা এই চাকরিতে আসছেন না কেন? সংসারের জেলে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্বামীর দায়িত্ব না পেলে কি তাঁরা উৎসাহিত নন?
উদ্দ্যালক গুপ্ত। কল্যাণী
• বাজারে গেলেই লঙ্কা শাসাচ্ছে খাবি কি রে, ঝাঁঝে মরে যাবি!
অর্ণব কোলে। দমদম
• কে কাকে শুনিয়েছেন তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং কবীর সুমনের মধ্যে ফোনালাপ হয়ে থাকলে সুরটা যে অবশ্যই ছিল: ‘চাইছি তোমার বন্ধুতা’, এতে কোনও সন্দেহ নেই।
মণ্টি দাস। জোরহাট
• দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা যেমন স্লো চালাচ্ছে, তাতে শরৎ ওভারটেক করল বলে। তাই দেখে বর্ষা আবার র্যাশ ড্রাইভ করতে গিয়ে পুজোয় ধাক্কা না মারে!
চঞ্চল পাল। শ্যমবাজার
• স্পেনের ফুটবল: শুধু ‘পাস’, ফেল নেই!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন
• লিয়েন্ডার জানালেন নিজেকে প্রমাণ করতে তিনি ‘কোর্ট’-এই যাবেন!
শুভ। ওদলাবাড়ি |
|
|
|
ওরে সবুজ ওরে আমার কাঁচা,
দাম কমিয়ে আধমরাদের বাঁচা।
খুচরো লাভের মদে মাতাল ভোরে,
আজকে যে যা দামে বেচুক তোরে,
ফড়ে’র বাজি হেলায় তুচ্ছ করে,
মূল্যটি তোর নামিয়ে কর সাঁচা।
নইলে ঘুঁটের মালা,
সবজি’রে তোর গলে নেওয়ার পালা। |
|
|
|
মধুসূদন চৌধুরী |
মারা যাওয়ার আগে বাবা মাকে বললেন, আমি চললাম, তুমি কলকাতায় গিয়ে ছোট ছেলেটার বিয়ের ব্যবস্থা কোরো। ছ’মাস পরে মা কলকাতায় এসে পাত্রীর খোঁজ শুরু করে দিলেন। পাড়ায় ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বোনকে মায়ের পছন্দ হল। কিন্তু আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ভেবে তাঁরা পিছিয়ে গেলেন। তখন আমি বেসরকারি অফিসের ‘হরিপদ কেরানি’। রাত্তিরে ল’ পড়তাম। তার পরে রাত এগারোটা অবধি এক উকিলের কাছে কাজ শিখতাম। অবশেষে মধ্যমগ্রামের এক পাত্রী মায়ের পছন্দ হল। মেয়েটি বি এসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পাত্রীর বাবা আমার সম্পর্কে জানতে উকিলবাবুর চেম্বারে এলেন। উকিলবাবু বললেন, মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন দিন, কিন্তু কম করে সাত-আট বছর মেয়েকে আধপেটা খেয়ে থাকতে হবে। এর পর হয়তো সুদিন আসতে পারে।
বিয়ে হয়ে গেল। ফুলশয্যা রাতে দু’জনে পাশাপাশি শুয়ে আছি। আমিই ওকে জিজ্ঞেস করলাম, আমার বস উকিলবাবুর কথাগুলো তোমার বাবা তোমাকে বলেছেন? ও খানিকক্ষণ চুপ করে থাকল। তার পর হঠাৎ আমার হাতটা চেপে ধরে বলল, সাত-আট বছর আমাদের দেখতে দেখতে কেটে যাবে। কোনও চিন্তা কোরো না।
ভাবলাম বিয়ের ক’দিনেই ও হয়তো আমার মুখে চিন্তার ছাপ দেখতে পেয়েছে। ওর আশ্বাসের কথা শুনে খানিকটা স্বস্তি বোধ করলাম।
যা-ই হোক, এর পর শুরু হল যৌথ সংগ্রাম। কী আশ্চর্য, বিয়ের ঠিক সাত বছর তিন মাস পর আমি নিজের জোরে ওকালতি পেশায় স্বাধীন ভাবে পুরোদস্তুর প্রবেশ করলাম।
তার পর জানি না, কী করে যেন, দু’জনে একসঙ্গে জীবনের বিয়াল্লিশটা বছর পার করে দিলাম। আজ জীবনসায়াহ্নে এসে মাঝে মাঝে অবসর মুহূর্তে আমরা দু’জন এই লম্বা সময়ের স্মৃতিগুলোকে রোমন্থন করি, আর ঈশ্বরের কাছে বার বার প্রার্থনা জানাতে থাকি, যে প্রাপ্তির পরশপাথরটা নিয়ে যেন বাকি জীবনটা দু’জনে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিতে পারি। |
|
|
কেবল টিভির ডিজি-টালবাহানা
চলছে চলবে?
সায়ন্তন দত্ত, রবীন্দ্রপল্লি |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
সেটা ১৯৭১ সাল। বি এড-এ ফিজিক্স পরীক্ষা। হলে গিয়ে দেখি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহপাঠী মহঃ মুফতি সেখানে উপস্থিত। আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে হাত দুটো জড়িয়ে ধরে বলল, যেন পরীক্ষায় একটু সাহায্য করি। ফিজিক্সে সাহায্য করার কথা ও আমাকে অনেক আগেই বলে রেখেছিল। আমিও কথা দিয়েছিলাম। পরীক্ষার প্রথম আড়াই ঘণ্টা ভালই কাটল। শেষ আধ ঘণ্টা ও আমাকে বার বার এটা ওটা জিজ্ঞেস করতে লাগল। সাহায্য করলে আমার সময় নষ্ট, নিজের ফল ভাল হবে না ভেবে সাহায্য করলাম না। ফল দেখা গেল আমি প্রথম শ্রেণি, মুফতি ফিজিক্সে ফেল। এতে ওর শিক্ষকতা জীবনে ক্ষতি হয়ে গেল। আর আমি তার দু’বছরের মধ্যে শিক্ষকতা ছেড়ে ব্যাঙ্কের চাকরিতে ঢুকলাম। বি এড একটা ডিগ্রি হয়ে রইল মাত্র। মুফতির সঙ্গে সম্পর্কটাও এর পরে দ্রুত ফিকে হয়ে শেষে মিলিয়ে গেল। সাহায্য না করার আফসোস আজ ৬৫ বছর বয়সেও তাড়া করে বেড়ায়।
স্বপনকুমার ঘোষ
কলকাতা-৩৪ |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
বিভাগ।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন থেকে কুড়িয়ে
পাওয়া ভালবাসার বাস্তব কাহিনি আমাদের পাঠান।
২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|